Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কংগ্রেসকে নরসিংহ-খোঁচা কৌশলী মোদীর

মোদীর পরেই উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের শুভেচ্ছার ঢল নামল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৯ ০২:১৭
Share: Save:

তিনি ছিলেন জাপানে। সেখান থেকেই ভারতীয় সময় ভোর পাঁচটায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের জন্মদিনের প্রথম শুভেচ্ছাটি টুইট করে পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

যাঁর সম্পর্কে তিন দিন আগেই লোকসভায় উল্লেখ করে কংগ্রেসকে বিঁধেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মনমোহন সিংহের সঙ্গে নরসিংহ রাওকে ‘ভারতরত্ন’ না দেওয়ার জন্যও কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। আজ সকালে জাপানে বসেই প্রধানমন্ত্রী টুইট করেন, ‘‘জন্মবার্ষিকীতে নরসিংহ রাওজিকে স্মরণ করছি। এক জন মহান পণ্ডিত ও দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের অগ্রগতির লক্ষ্যে তাঁরঅগ্রণী পদক্ষেপের জন্য তিনি স্মরণীয় থাকবেন।’’

মোদীর পরেই উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের শুভেচ্ছার ঢল নামল।

বেলা গড়াতে কংগ্রেসও সিদ্ধান্ত নিল, টুইট তারাও করবে। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালাও টুইট করে রাও-এর আর্থিক সংস্কারের তারিফ করলেন। কিন্তু রাওয়ের নাতি, এখন বিজেপি নেতা এন ভি সুভাষ ফের বিতর্ক বাধালেন সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীকে ক্ষমা চাইতে বলে। আসলে এআইসিসির এক সচিব জি চিন্নারেড্ডি মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, রাও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নেহরু-গাঁধী পরিবারকে অবজ্ঞা করেছেন। এর পরেই রাও-এর নাতি গর্জে ওঠেন। তাঁর অভিযোগ, গাঁধী পরিবারই রাওয়ের প্রতি অবিচার করেছে।
মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ দিল্লিতে এআইসিসি দফতরেও নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। অন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মতো কোনও স্মারকও হয়নি রাজধানীতে।

কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা অবশ্য এখনও বলেন, নরসিংহ রাওয়ের সঙ্গে সনিয়া গাঁধীর সম্পর্ক কখনওই মধুর ছিল না। রাজীব গাঁধীর হত্যার পরে সনিয়া রাজনীতিতে আসতে রাজি ছিলেন না। সেই সময় রাও প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু সনিয়ার সঙ্গে প্রথম বিবাদ বাধে রাজীব-হত্যার তদন্তে রাওয়ের গড়িমসি নিয়ে। সনিয়াকে নানা ভাবে খাটো করতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে রাওয়ের বিরুদ্ধে। নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি, অর্জুন সিংহ, মাধবরাও সিন্ধিয়ার মতো নেতাদেরও ডানা ছাঁটেন।

কংগ্রেসের এক নেতা আজ বলেন, ‘‘রাও-এর বিরুদ্ধে সব থেকে বড় অভিযোগ— বাবরি মসজিদ ভাঙা রুখতে তিনি পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করেননি। আর তাতেই বিজেপির উত্থান। উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যে কংগ্রেসের শক্তি দুর্বল হয়েছে তাঁর সময়েই। দুর্নীতিরও ভূরিভূরি অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালে রাহুল গাঁধীও বলেন, গাঁধী পরিবারের কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকলে বাবরি মসজিদ ভাঙত না। আজ সেই তিক্ততারই সুযোগ নিতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi BJP Congress Narasimha Rao
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy