ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে সোজা তামিলনাড়ু হয়ে কেরলে। আবার কেরল থেকে পশ্চিমবঙ্গে।
ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পূর্ব ভারত থেকে দক্ষিণ ভারত কার্যত ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ করছেন। কেরলে গিয়েও পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস-বাম জোটকে নিশানা করছেন। কেরলে বাম ও কংগ্রেসের লড়াই অথচ বঙ্গে তাদের জোটকে নিশানা করে আজ তিরুঅনন্তপুরমে একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, বাম ও কংগ্রেস এ বার মিশে যাবে। নতুন দলের নামও বাতলে দিয়েছেন মোদী। তা হল, সিসিপি বা কমরেড কংগ্রেস পার্টি।
গত কাল অসম ও পশ্চিমবঙ্গে সভার পরে রাতে তামিলনাড়ুর মাদুরাই পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ কন্যাকুমারী, কেরলের পথনমথিত্তা, তিরুঅনন্তপুরমে জনসভা করেছেন। আগামিকাল তিনি ফের পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে প্রচারে যাবেন।
বিজেপি প্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রীকে তাঁদের কেন্দ্রে প্রচারে চাইছেন। কিন্তু আজ তামিলনাড়ুতে ডিএমকে প্রার্থীরাও প্রধানমন্ত্রীকে ‘আর্জি’ জানিয়েছেন, তিনি যেন তাঁদের কেন্দ্রে এসে এডিএমকে-বিজেপি জোটের হয়ে প্রচার করেন। এক সুরে ডিএমকে প্রার্থীদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী প্রচারে এলে এডিএমকে-বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁদের জয়ের ব্যবধান আরও বেড়ে যাবে।
ডিএমকে-র এই অভিনব আক্রমণে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। কারণ, প্রধানমন্ত্রীই বিজেপির আসল তারকা প্রচারক। কিন্তু ডিএমকে-র ধর্মপুরী থেকে তিরুভন্নামালাই, কাঞ্চীপুরম থেকে কৃষ্ণগিরির প্রার্থীরা টুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে রীতিমতো ট্যাগ করে তাঁকে নিজেদের কেন্দ্রে প্রচারে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। সকলেরই যুক্তি, মোদী তাঁদের বিরুদ্ধে প্রচারে এলে আখেরে তাঁদেরই লাভ। শ্রীপেরুমবুদুরের কংগ্রেস প্রার্থীও প্রধানমন্ত্রীকে একই বার্তা দিয়েছেন।
মোদী অবশ্য আজ একইসঙ্গে কেরল, তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির মানুষের কাছে এনডিএ-র জন্য আশীর্বাদ চেয়েছেন। তাঁর যুক্তি, এনডিএ জাতীয় স্বার্থ ও আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা— দুই-ই বোঝে। বিজেপি ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বিশ্বাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy