গুজরাতে প্রচারে নরেন্দ্র মোদী। ছবি পিটিআই।
গুজরাতের সৌরাষ্ট্র, সুরাতের মতো অঞ্চলে ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)। এই প্রথম গুজরাতের ভোটে লড়ছে আপ এবং সেখানে এ বার ত্রিমুখী লড়াই। কিন্তু প্রচারে গিয়ে রাজ্যে এই নতুন অতিথির নাম পর্যন্ত উল্লেখ করছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর আক্রমণের একমাত্র লক্ষ্য কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, দিল্লির পুর নিগমের কথা মাথায় রেখে আপকে জাতীয় প্রতিপক্ষ হিসাবে মান্যতা দিয়ে, তাদের গুরুত্ব বাড়াতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী। গুজরাতের ম্যাচ জেতা নিয়ে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী, দিল্লি নিয়ে নন।
গুজরাতের রাজনৈতিক শিবিরের মতে, রাজ্যের ভোট ময়দানে আপ নামায় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কংগ্রেসের। বিজেপি দীর্ঘদিন রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার ফলে কৃষি থেকে কর্মসংস্থান— সর্বত্রই তৈরি হয়েছে উষ্মা। বিজেপি-বিরোধিতার যে পরিসরটি তৈরি হয়েছে, ২০১৭ সালে তার ফায়দা একা নিয়ে মোদীর ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন রাহুল। সেই পরিসরে এ বার ভাগ বসানোর চেষ্টা করছে আপ।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, কংগ্রেসের পাশাপাশি, আপকেও বিরোধী দলের সমগুরুত্ব দিয়ে আক্রমণ করবেন মোদী। যাতে কংগ্রেসের ভোট ভাগ হয়। যে ভাবে গোয়ার ভোটেও দেখা গিয়েছিল সে রাজ্যে লড়তে যাওয়া অপেক্ষাকৃত অকিঞ্চিৎকর আপ ও তৃণমূলকেও বারবার আক্রমণ করে তাদের রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়িয়েছে বিজেপি। এটা বিরোধী ভোট ভাগের কৌশল।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে কেন কেজরীওয়ালের নাম নিচ্ছেন না মোদী? রাজনৈতিক সূত্রের মতে, কারণটা দিল্লির পুরনিগমের ভোট। গুজরাতের ভোট পর্বের মধ্যেই রয়েছে (৪ ডিসেম্বর) দিল্লির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, যা বিজেপি-র কাছে চ্যালেঞ্জ। অন্য দিকে, দিল্লিতে পর পর দু’বার বিধানসভায় ক্ষমতায় এলেও এক বারও পুরনিগম জিততে পারেনি আপ। এ দফায় জিততে মরিয়া তারা, যা বিজেপির কাছে মাথাব্যথার কারণ। এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত জুন-জুলাইয়ে। কিন্তু নির্বাচন ঝুলিয়ে রেখে ১৫ বছর পরে দিল্লির তিন পুরনিগমকে ফের একটি নিগমের ছাতার তলায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। গত ১৫ বছর দিল্লির পুরনিগমে ক্ষমতা ধরে রেখেছে বিজেপি।
রাজনৈতিক শিবিরের ধারণা, কেজরীওয়ালকে গুজরাতের ভোটে সরাসরি আক্রমণ করে দিল্লিতে তাঁর গুরুত্ব বাড়াতে চান না মোদী। তাঁর মতো শীর্ষ নেতা যতই আপ-কে আক্রমণ করবে, দিল্লির ভোটে তার ফায়দা তুলবে তারা, এমনটাই অনুমান বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। অন্য দিকে, গুজরাতে জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী মোদী-অমিত শাহেরা। সেখানে কেজরীওয়াল লড়াই করা মানে সামান্য হলেও কংগ্রেসের ভোট ভাগ হবে— এমনটাই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই গুজরাতের ভোটের জন্য আলাদা করে আপকে নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন দেখছে না বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy