Advertisement
E-Paper

অরুণাচলের ‘জবাব’ তিব্বতে! চিন অধিকৃত ভূখণ্ডের ৩০টি জায়গার নতুন ‘নাম দিচ্ছে’ নয়াদিল্লি

গত এপ্রিলে ভারতের আপত্তি উড়িয়ে অরুণাচল প্রদেশের উপর নিজেদের ‘অধিকার দর্শাতে’ এলএসি বরাবর রাজ্যটির ৩০টি জায়গার ‘নাম বদলে’ চিনা নাম রেখেছিল বেজিং।

ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা।

ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২৪ ১৫:৫৩
Share
Save

নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় দফার প্রধানমন্ত্রিত্বের সূচনাতেই চিন সরকারের ‘নামকরণ কৌশলের’ জবাব দিতে চলেছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর চিন অধিকৃত তিব্বতের ৩০টি জায়গার ‘নাম বদলের’ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কেন্দ্র। ভারতীয় সেনার এলএসি এবং সংলগ্ন এলাকার মানচিত্রে এ বার সেই নতুন নাম ব্যবহার করা হবে।

গত এপ্রিলে ভারতের আপত্তি উড়িয়ে অরুণাচল প্রদেশের উপর নিজেদের ‘অধিকার দর্শাতে’ এলএসি বরাবর রাজ্যটির ৩০টি জায়গার ‘নাম বদলে’ চিনা নাম রেখেছিল বেজিং। নাম বদলের তালিকায় জাংমানের (অরুণাচল প্রদেশকে এই নামেই ডাকে চিন সরকার) ১১টি আবাসিক এলাকা, ১২টি পাহাড়, চারটি নদী, একটি হ্রদ, একটি গিরিপথ এবং একটি উপত্যকা ছিল। এ বার তিব্বতে তার জবাব দিতে চলেছে নয়াদিল্লি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি, সেনার নয়া সংশোধিত মানচিত্রে চিন অধিকৃত তিব্বতের ৩০টি জায়গার নতুন নাম থাকবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের গোড়াতেও একতরফা ভাবে চিনের অসামরিক মন্ত্রকের তরফে অরুণাচলের ১১টি জায়গার নাম বদলে দেওয়া হয়েছিল। সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমসে’র তরফে এই খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে। একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত সরকারের তরফে দাবি করা হয়, জায়গাগুলি দক্ষিণ তিব্বতের অংশ। তাই স্থানীয় মানুষদের উচ্চারণের সুবিধার্থেই জায়গাগুলোর নাম বদলানো হল। যে ১১টি জায়গার নাম বদলানো হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে ছিল পর্বতশৃঙ্গ, নদী, এমনকি বসতি অঞ্চলও।

তার আগে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেও চিনের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে অরুণাচল প্রদেশের একাধিক জায়গার নাম বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে তিব্বতকে হাতিয়ার করে নয়াদিল্লি আন্তর্জাতিক মঞ্চে শি জিনপিং সরকারকে চাপে রাখতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।

পঞ্চাশের দশকে চেয়ারম্যান মাও জে দংয়ের নির্দেশে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র তিব্বত দখল করেছিল। এর পরেই শুরু হয় স্বাধীনতাকামী তিব্বতিদের উপর দমনপীড়ন। পরবর্তী সময়ে চিনা অত্যাচারের আশঙ্কায় কয়েক লক্ষ অনুগামী-সহ ভারতে চলে এসেছিলেন তিব্বতি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু দলাই লামা। ভারত তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিল। গত ছ’দশক ধরে তিব্বতের স্বাধীনতার দাবিতে বিশ্ব জুড়ে প্রচার করে চলেছেন দলাই অনুগামী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। চিনা দখলদারির প্রতিবাদে আন্দোলন চালাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে।

Tibet China LAC Ladakh Arunachal Pradesh India-China Conflict India-China

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।