নরেন্দ্র মোদী।
কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের পাল্টা হিসেবে গত কাল রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে পাকিস্তানকে সন্ত্রাস প্রশ্নে তুলোধোনা করেছে ভারত। আজ তা নিয়ে পাকিস্তানকে ফের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরের সামনে পাকিস্তানের ‘নিপীড়ন’-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন বালুচ আন্দোলনকারীরা।
আজ উত্তরপ্রদেশের মথুরায় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদ এখন মতবাদে পরিণত হয়েছে। তার প্রভাব একটি দেশে সীমাবদ্ধ নেই। আমাদের প্রতিবেশী দেশে সন্ত্রাসের গভীর শিকড় রয়েছে।’’
মোদীর কথায়, ‘‘প্রায় এক শতাব্দী আগের এক ১১ সেপ্টেম্বরে শিকাগোয় স্বামী বিবেকানন্দের ঐতিহাসিক বক্তৃতায় গোটা বিশ্ব ভারতীয় সংস্কৃতির কথা জানতে পেরেছিল। দুঃখের বিষয় এক ১১ সেপ্টেম্বরেই আমেরিকায় জঙ্গি হানায় কেঁপে উঠেছিল গোটা বিশ্ব।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারত আগেও বলিষ্ঠ পদক্ষেপ করেছে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও করবে। কিন্তু গোটা বিশ্বের উচিত যারা জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আশ্রয় এবং মদত দেয় তাদের বিরুদ্ধে যৌথ ভাবে পদক্ষেপ করা।’’
এ দিকে আজ জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরের সামনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হন বালুচ রাজনৈতিক কর্মী ও মানবাধিকার কর্মীরা। ‘বালুচিস্তানে মানবিক সঙ্কট’ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকও করেন তাঁরা।
আমেরিকায় ‘বালুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট’-এর নেতা নবি বকশ বালোচ বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় পাকিস্তানের উপস্থিতি যত দিন থাকবে, তত দিন বালুচিস্তানে শান্তি থাকবে না। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি তো আর বালুচিস্তানে পাক সেনার নিপীড়নের কথা বলবেন না। তাই আমরা এখানে এসেছি। আমাদের কথা কে শুনবে?’’ তাঁর কথায়, ‘‘বালুচিস্তানে পাক সেনার কার্যকলাপের কথা গোটা বিশ্ব জানে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়টির উপরে নজর রাখেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সব শিবিরের উচিত বালুচিস্তানের মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে প্রচার শুরু করা।’’
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে বক্তৃতাতেই বালুচিস্তান প্রসঙ্গে সরব হয়েছিলেন ব্রিটিশ মানবাধিকার কর্মী পিটার ট্যাটশেল। তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তানি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীরা বালুচিস্তানে পাক সেনার বিরুদ্ধে নিপীড়ন, অপহরণ, বিচার-বহির্ভূত হত্যার অভিযোগ তুলেছেন। এমন ঘটনা পাকিস্তানের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের বিরোধী।’’ আর এক বালুচ নেতা মেহরান মার্রি বলেন, ‘‘পাকিস্তান নিজেকে গোটা বিশ্বে মুসলিমদের অধিকারের নজরদার হিসেবে তুলে ধরতে চায়। কিন্তু তাদের মিত্র দেশ চিন উইগুর সম্প্রদায়ের মুসলিমদের উপরে যে নিপীড়ন চালাচ্ছে সেটা তারা দেখতে পায় না কেন? বালুচিস্তানে পাকিস্তানের কাজকর্মে চিনা মদত রয়েছে বলেই কি ইসলামাবাদ চোখ বন্ধ করে থাকে?’’
এরই মধ্যে কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে ভারত-পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy