নরেন্দ্র মোদী ও শি চিনফিং। ছবি: পিটিআই।
পাকিস্তানের মদতপ্রাপ্ত ভারত-বিরোধী আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে কোনও কথা হল না নরেন্দ্র মোদী এবং শি চিনফিংয়ের। মমল্লপুরমের ঘরোয়া বৈঠকে পাকিস্তানের নাম করে সীমান্তপারের সন্ত্রাসের নিন্দা করল না চিন। এফএটিএফ-এর আসন্ন বৈঠকে পাকিস্তানকে কালো তালিকায় তোলার প্রতিশ্রুতি কিংবা চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর বন্ধের আশ্বাসও দিল না। তবে সার্বিক ভাবে সন্ত্রাস এবং মৌলবাদ রুখতে একজোট হওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি মোদী-চিনফিংয়ের আলোচনায় এসেছে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
বিদেশসচিব বিজয় গোখলের কথায়, ‘‘দুই নেতাই একমত হয়েছেন যে, ক্রমশ জটিল হতে থাকা এই বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ এবং মৌলবাদের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সন্ত্রাস দু’দেশের কাছেই বড় বিপদ তৈরি করেছে। দুই নেতাই এমন রাষ্ট্রের নাগরিক, যারা শুধুমাত্র জনসংখ্যা বা এলাকাতেই বৃহৎ নয়। বৈচিত্রের কারণেও বৃহৎ। গোটা বিশ্বে জঙ্গি প্রশিক্ষণ, তাদের আর্থিক এবং অন্যান্য সহায়তা রুখতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী যাতে সুনির্দিষ্ট কাঠামো গড়ে তোলে— তার জন্য যৌথ ভাবে চেষ্টা করা হবে।’’ পাকিস্তান নিয়ে প্রশ্ন করায় গোখলের জবাব, ‘‘ভারত এবং চিনের সম্পর্ক কোনও একটি বিষয়নির্ভর নয়। পাকিস্তানের সন্ত্রাস সম্পর্কে ভারতের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’’
আজ থেকেই দু’দিনের নেপাল সফর শুরু করেছেন চিনফিং। কাঠমান্ডুতে পৌঁছেই তিনি বৈঠক করেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা েদবী ভাণ্ডারীর সঙ্গে। কাল, রবিবার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি এবং কমিউনিস্ট নেতা প্রচণ্ডের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর। ভারত-নির্ভরতা কমাতে চাইছে নেপাল সরকার। নেপাল-তিব্বত রেল যোগাযোগ নিয়ে একটি চুক্তি সইয়ের কথা রয়েছে চিনফিংয়ের সফরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy