Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

পরবর্তী ভোটের কাজ শুরু মোদী-অমিতের

যে কেরলে বিজেপি ‘শূন্য’ পেয়েছে, বিদেশ সফরে যাওয়ার পথে সেখানে ঘুরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৯ ০২:৩১
Share: Save:

ভোটের ফল ঘোষণার পনেরো দিনের মাথায় ফের ভোটের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ।

যে কেরলে বিজেপি ‘শূন্য’ পেয়েছে, বিদেশ সফরে যাওয়ার পথে সেখানে ঘুরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। আর বিদেশ সফর সেরে দিল্লি ফেরার পথে ঢুঁ মারলেন অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখানেও লোকসভা ভোটে বিজেপির কপালে জুটেছে ওই ‘শূন্য’ই। এখানেই শেষ নয়, সামনে তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ড। আজ দেশের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিজেপি দফতরে গিয়ে গোটা দিন দলের সভাপতির ভূমিকা পালন করলেন। তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তিন দফায় বৈঠক করে ভোটের কৌশল রচনা করলেন। শুধু তাই নয়, স্থির হয়েছে, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে মোদী ও অমিত শাহ উভয়েই ভোটমুখী রাজ্যে গিয়ে যোগাসন করবেন। মোদী যাবেন রাঁচীতে, অমিত শাহ হরিয়ানার রোহতকে।

এখানেই থামছে না এই জুটি। বিজেপি সূত্রের মতে, চলতি সপ্তাহেই সব রাজ্যের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছেন অমিত শাহ। বৃহস্পতি ও শুক্রবার তাঁদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করবেন তিনি। সরকার ও দলের মধ্যে সমন্বয় করে রাজ্যগুলির সংগঠনকেও কী করে আরও চাঙ্গা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যের সাংগঠনিক নির্বাচনের বিষয়টিও ঠিক হবে। এর পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে অমিত শাহ থাকবেন, না তাঁর কোনও উত্তরসূরি বাছা হবে। যদিও কাউকে কার্যনির্বাহী সভাপতি করে আপাতত সভাপতি পদে অমিত শাহের থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।

রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের একদিন আগে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। শপথের আগেই সম্ভাব্য মন্ত্রীদের তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, সরকার কী ভাবে কাজ করবে। সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে এ বারে মন্ত্রীদের কাজের টার্গেটও বেঁধে দেওয়া হবে। প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘ছুটি বলে কিছু নেই আমাদের। ভোট শেষ হওয়ার পরে হাতে দু’দিন সময় ছিল। ভেবেছিলাম জিম করবেট থেকে ঘুরে আসব। বুকিংও করেছিলাম। কিন্তু ভয়েই যেতে পারিনি।’’

ভোট নিয়ে মোদী-শাহের এই আক্রমণাত্মক অবস্থান দেখেই বিজেপির অনেকে তাঁদের ‘ভোট-মেশিন’ বলেন। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘ভোটের ফল প্রকাশের পর কংগ্রেস এখনও ঠিক করতে পারছে না, রাহুল গাঁধী সভাপতি থাকবেন কি থাকবেন না। আর আমাদের দলে পরের ভোটের রণনীতি তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ আজই নাম না করে রাহুল গাঁধীকে বিঁধে মোদী দক্ষিণের েক সভায় বলেন, বিরোধী নেতাদের অনেকে এখনও ভোটের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি। বিজেপির এই আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখে কংগ্রেসের অনেক নেতা ঘরোয়া মহলে হতাশায় বলেছেন, ‘‘আমাদের জেনারেল তো দায়িত্ব ছেড়ে পালাতে চাইছেন। অথচ তাঁর উচিত, এই সঙ্কটের সময় দলের নেতৃত্ব কাঁধে নিয়ে কর্মীদের আরও চাঙ্গা করা। তা না হলে পরের ভোটগুলিতেও একই দশা হবে আমাদের।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy