কুনোয় আফ্রিকান চিতার দল। —ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে বছর দুয়েক আগে আনা হয়েছিল নামিবিয়ার একদল চিতা। কিন্তু তার পর থেকে একের পর এক চিতার মৃত্যুতে চিন্তায় ঘুম উড়েছিল বন দফতরের। নজরদারির জন্য বাকি চিতাগুলিকে রাখা হয় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। এ বার সেই চিতাগুলিকেই জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।
গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে একদল চিতাকে ভারতে আনা হয়। সেই পর্যায়ে ভারতে এসে পৌঁছয় আটটি চিতা। পরের লপ্তে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ আরও ১২টি চিতাকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে আনা হয়। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছে সাতটি চিতা। গত বছরের জুলাইতেও পিঠ ও ঘাড়ে সেপ্টিসেমিয়ার কারণে তিনটি পূর্ণবয়স্ক চিতার মৃত্যু হয়েছে। কুনোতে এখন সব মিলিয়ে ২৫টি চিতা রয়েছে, যার মধ্যে ১৩টি প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২টি শাবক, যাদের জন্ম ভারতেই।
চিতা দেখভাল ও তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখে চিতা স্টিয়ারিং কমিটি। সেই কমিটির প্রধান রাজেশ গোপাল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘ওদের এক এক করে বনে ছেড়ে দেওয়া হবে। আমরা ন্যাশনাল টাইগার কনজ়ারভেশন অথরিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছি। বর্ষা শেষ হলেই ওই চিতাগুলিকে বনে ছেড়ে দেওয়া হবে।’’
মা-সহ চিতাশাবকগুলিকে ছাড়া হবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে। তত দিনে শাবকগুলি নিজেরা শিকার করতে শিখে যাবে বলে মনে করছেন বন দফতর আধিকারিকরা। তবে শাবকগুলির গতিবিধির উপর নজর রাখতে প্রয়োজন বিশেষ কলারের। সেই মতো চলছে পরিকল্পনাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy