Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Pulwama

কাশ্মীরি পণ্ডিতের সৎকারে মুসলিমরা

১৯৯০-এর অশান্ত কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়েছিলেন প্রাণ বাঁচাতে। কিন্তু মাখনলালের বিশ্বাস ছিল প্রতিবেশীদের উপরে।

মাখনলালের শেষকৃত্যে প্রতিবেশীরা।

মাখনলালের শেষকৃত্যে প্রতিবেশীরা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২১ ০৫:৫৫
Share: Save:

তিন মেয়ে ও দুই ছেলে । সকলেই থাকেন জম্মুতে। তাঁদের বাবা পণ্ডিত মাখনলাল থাকতেন কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার তহাব এলাকায়। শুক্রবার বেশি রাতে যখন তিনি মারা যান, পরিবারের কেউ কাছে ছিলেন না। কিন্তু স্বজনের অভাব হয়নি। খবর পেয়ে শনিবার প্রতিবেশী মুসলিমরাই এগিয়ে আসেন তাঁর সৎকারে। বয়ে আনেন কাঠ। সাজানো হয় চিতা।

সুষ্ঠু ভাবে সারা হয় অন্ত্যেষ্টি। প্রতিবেশীরা বলছেন, এটা তাঁদের কর্তব্যই ছিল। ধর্ম যা-ই হোক না কেন, প্রতিবেশীর যত্ন নিতে শেখায় ইসলাম। তাঁরা নিজেদের সেই ধর্মই পালন করেছেন।

১৯৯০-এর অশান্ত কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতেরা ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়েছিলেন প্রাণ বাঁচাতে। কিন্তু মাখনলালের বিশ্বাস ছিল প্রতিবেশীদের উপরে। কখনওই উপত্যকা ছেড়ে যাননি। তাঁর মামা রমেশ মালও রয়েছেন কাশ্মীরে। পুলওয়ামার চিফ মেডিক্যাল অফিসার তিনি। প্রাক্তন বিএসএনএল কর্মী মাখনলাল ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত নিশ্চিন্তে কাটিয়েছেন উপত্যকায়।

স্বল্প রোগভোগের পরে শুক্রবার রাতে মাখনলালের মৃত্যুর পরেও দেখা গেল, ধর্মের ভেদ স্বজন হয়ে উঠতে বাধা হয়নি। বরং প্রতিবেশীর ধর্মই সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছে প্রবীণ এই কাশ্মীরি পণ্ডিতের অন্ত্যেষ্টির ক্ষেত্রে।

অন্য বিষয়গুলি:

Communal harmony Pulwama
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy