এ বার ‘দাক্ষিণাত্য অভিযানে’ নামার বার্তা দিল বিজেপি। বুধবার রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ হিসাবে চার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, তাঁরা চার জনেই দক্ষিণ ভারতের। ক্রীড়াবিদ পিটি উষা, সঙ্গীত পরিচালক ইলাইয়ারাজা, চলচ্চিত্র পরিচালক ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ এবং মানবতাবাদী ধর্মগুরু বীরেন্দ্র হেগড়ে রয়েছেন এই তালিকায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যসভায় মনোনীত চার বিশিষ্টজনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সংসদের উচ্চকক্ষে সদ্য-মনোনীত অলিম্পিক ক্রীড়াবিদ উষা কেরলের বাসিন্দা। পদ্মবিভূষণ সম্মাননাপ্রাপ্ত ইলাইয়ারাজা তামিলনাড়ুর। তিনি দলিত সমাজের প্রতিনিধি। বিজয়েন্দ্র অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বীরেন্দ্র কর্নাটকের বাসিন্দা। চার জনের কেউই প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতিতে নেই। কিন্তু জনমানসে তাঁদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল। লোকসভা ভোটের আগে তাঁদের রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসাবে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে বিজেপি হিসাব কষেই ‘দাক্ষিণাত্য তাস’ খেলতে চেয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।
বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণের রাজ্যগুলির মধ্যে একক ভাবে বিজেপির হাতে রয়েছে শুধু কর্নাটক। তা ছাড়া পুদুচেরিতে এনআর কংগ্রেস এবং এডিএমকের সঙ্গে শাসক জোটের শরিক বিজেপি। কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ বা তামিলনাড়ুতে এখনও সাংগঠনিক ক্ষমতা বাড়িয়ে রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি করতে পারেনি পদ্ম শিবির। তবে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে একক ভাবে লড়ে তেলঙ্গানায় চারটি আসনে তারা জিতেছিল।
এই পরিস্থিতিতে হায়দরাবাদে দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদ্যসমাপ্ত অধিবেশনে ২০২৪ সালের লোকসভার নির্বাচনে দাক্ষিণাত্য থেকে আরও বেশি দলীয় সাংসদ জিতিয়ে আনতে ‘অভিযান’ শুরুর বার্তা দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। রাজ্যসভায় সাংসদ মনোনয়নে ‘চমক’ সেই পরিকল্পনারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে ২০২৩ সালে তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। সেখানে শাসক দল টিআরএসের সঙ্গে বিজেপিরই মূল লড়াই হবে বলে মনে করছেন অনেকে।