Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

হাত না লাগিয়ে মিলছে স্যানিটাইজার! তাক লাগিয়ে দিল মুম্বইয়ের স্টার্ট আপ

এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় এই হ্যান্ডস ফ্রি স্টেশন বসানো হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২০ ১২:১৬
Share: Save:
০১ ১১
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক ব্যবহার ও বার বার হাত ধোয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু রাস্তাঘাটে বা কাজের জায়গায় হাত ধোয়ার সুযোগ সব সময় থাকে না। সেই পরিস্থিতিতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন সাধারণ মানুষ।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক ব্যবহার ও বার বার হাত ধোয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু রাস্তাঘাটে বা কাজের জায়গায় হাত ধোয়ার সুযোগ সব সময় থাকে না। সেই পরিস্থিতিতে স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন সাধারণ মানুষ।

০২ ১১
কিন্তু করোনার এই ভয়াবহ সময়ে বাজারে স্যানিটাইজারের যোগানে বেশ কিছুটা ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। সেই ঘাটতি মেটাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন সংস্থা শুরু করেছে স্যানিটাইজার তৈরি।

কিন্তু করোনার এই ভয়াবহ সময়ে বাজারে স্যানিটাইজারের যোগানে বেশ কিছুটা ঘাটতি দেখা গিয়েছিল। সেই ঘাটতি মেটাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন সংস্থা শুরু করেছে স্যানিটাইজার তৈরি।

০৩ ১১
ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। সে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি মুম্বইয়ে। এই পরিস্থিতিতে সেখানকার বাজার, বাসস্ট্যান্ড-সহ বিভিন্ন জায়গায় স্যানিটাইজার স্টেশন বসানোর কাজ করছে একটি ইকো স্টার্ট আপ সংস্থা।

ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। সে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি মুম্বইয়ে। এই পরিস্থিতিতে সেখানকার বাজার, বাসস্ট্যান্ড-সহ বিভিন্ন জায়গায় স্যানিটাইজার স্টেশন বসানোর কাজ করছে একটি ইকো স্টার্ট আপ সংস্থা।

০৪ ১১
তবে তাদের বসানো স্যানিটাইজার স্টেশনের সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল, এর গায়ে হাত না লাগিয়েই নেওয়া যাবে স্যানিটাইজার। এই সব স্টেশনের নাম ‘হ্যান্ডস ফ্রি স্যানিটাইজার স্টেশন’।

তবে তাদের বসানো স্যানিটাইজার স্টেশনের সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল, এর গায়ে হাত না লাগিয়েই নেওয়া যাবে স্যানিটাইজার। এই সব স্টেশনের নাম ‘হ্যান্ডস ফ্রি স্যানিটাইজার স্টেশন’।

০৫ ১১
বাজারে দোকানে রাখা স্যানিটাইজারের বোতল থেকে হাতে করে স্যানিটাইজার নিলে সংক্রমণ আশঙ্কা কিছুটা হলেও থেকে যায়। হয়ত এক জন সংক্রমিত হাত দিয়ে স্যানিটাইজার নিয়েছেন। তার পর এক জন সুস্থ ব্যক্তি হাত দিয়ে সেই বোতল থেকে স্যানিটাইজার নিলে তারও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়।

বাজারে দোকানে রাখা স্যানিটাইজারের বোতল থেকে হাতে করে স্যানিটাইজার নিলে সংক্রমণ আশঙ্কা কিছুটা হলেও থেকে যায়। হয়ত এক জন সংক্রমিত হাত দিয়ে স্যানিটাইজার নিয়েছেন। তার পর এক জন সুস্থ ব্যক্তি হাত দিয়ে সেই বোতল থেকে স্যানিটাইজার নিলে তারও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়।

০৬ ১১
এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় এই হ্যান্ডস ফ্রি স্টেশন বসানো হয়েছে। অর্থাৎ এখানে রাখা বোতল থেকে স্যানিটাইজার নিতে ঠেকাতে হবে না হাত। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় এক হাজারেরও বেশি স্যানিটাইজার স্টেশন বসানো হয়েছে।

এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় এই হ্যান্ডস ফ্রি স্টেশন বসানো হয়েছে। অর্থাৎ এখানে রাখা বোতল থেকে স্যানিটাইজার নিতে ঠেকাতে হবে না হাত। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় এক হাজারেরও বেশি স্যানিটাইজার স্টেশন বসানো হয়েছে।

০৭ ১১
সেই স্টেশনের স্ট্যান্ডের মধ্যে রাখা আছে বোতল। সেই বোতলের সামনে হাত রেখে স্ট্যান্ডের তলায় থাকা পাদানিতে চাপ দিলেই বেরিয়ে আসবে নির্দিষ্ট পরিমাণ স্যানিটাইজার। এ ভাবেই স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাড়িয়ে সংক্রমণ রোখার বেশ কার্যকরী উপায় বের করেছে মুম্বইয়ের সংস্থাটি।

সেই স্টেশনের স্ট্যান্ডের মধ্যে রাখা আছে বোতল। সেই বোতলের সামনে হাত রেখে স্ট্যান্ডের তলায় থাকা পাদানিতে চাপ দিলেই বেরিয়ে আসবে নির্দিষ্ট পরিমাণ স্যানিটাইজার। এ ভাবেই স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাড়িয়ে সংক্রমণ রোখার বেশ কার্যকরী উপায় বের করেছে মুম্বইয়ের সংস্থাটি।

০৮ ১১
ইকো স্টার্ট আপ সংস্থাটির নাম বেকো। স্যানিটাইজার ছাড়াও ইয়ার বাডস, টুথপিক, টিস্যুও বানায় তারা। এই সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা আদিত্য রুইয়া বলেছেন, ‘‘সাধারণত আমরা আমাদের প্রোডাক্ট বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু করোনার পর পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তাই আমরা হ্যান্ডস ফ্রি স্টেশনের পথে এগোচ্ছি।’’

ইকো স্টার্ট আপ সংস্থাটির নাম বেকো। স্যানিটাইজার ছাড়াও ইয়ার বাডস, টুথপিক, টিস্যুও বানায় তারা। এই সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা আদিত্য রুইয়া বলেছেন, ‘‘সাধারণত আমরা আমাদের প্রোডাক্ট বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু করোনার পর পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তাই আমরা হ্যান্ডস ফ্রি স্টেশনের পথে এগোচ্ছি।’’

০৯ ১১
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে এই স্যানিটাইজার স্টেশন বিক্রি করছে বেকো। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও কিছু অসরকারি সংস্থাকে দানও করেছেন তাঁরা।

বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাকে এই স্যানিটাইজার স্টেশন বিক্রি করছে বেকো। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও কিছু অসরকারি সংস্থাকে দানও করেছেন তাঁরা।

১০ ১১
আদিত্যর পাশাপাশি অনুজ রুইয়া ও অক্ষয় ভর্মা বেকোর প্রতিষ্ঠাতা। অনুজ ও আদিত্য ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন। অক্ষয় মেটেরিয়াল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন আইআইটি মাদ্রাজ থেকে। এই ডিজাইন বানাতে তাঁরা কাজে লাগিয়েছেন নিজেদের ইঞ্জিনিয়ারিং মেধাকে।

আদিত্যর পাশাপাশি অনুজ রুইয়া ও অক্ষয় ভর্মা বেকোর প্রতিষ্ঠাতা। অনুজ ও আদিত্য ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন। অক্ষয় মেটেরিয়াল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেছেন আইআইটি মাদ্রাজ থেকে। এই ডিজাইন বানাতে তাঁরা কাজে লাগিয়েছেন নিজেদের ইঞ্জিনিয়ারিং মেধাকে।

১১ ১১
পাশাপাশি তাঁদের এই উদ্যোগ কর্মসংস্থানও জোগাচ্ছে অনেককে। ৭৫ জন কর্মী ছাড়াও ৩০ জন দৈনিক মজুর হিসাবে কাজ করছেন তাঁদের সংস্থায়। পাশাপাশি এক বন্ধুর সহযোগিতায় মুম্বইয়ের পিছিয়ে থাকা এলাকায় জনসচেতনতা গড়ার কাজও চালাচ্ছেন তাঁরা।

পাশাপাশি তাঁদের এই উদ্যোগ কর্মসংস্থানও জোগাচ্ছে অনেককে। ৭৫ জন কর্মী ছাড়াও ৩০ জন দৈনিক মজুর হিসাবে কাজ করছেন তাঁদের সংস্থায়। পাশাপাশি এক বন্ধুর সহযোগিতায় মুম্বইয়ের পিছিয়ে থাকা এলাকায় জনসচেতনতা গড়ার কাজও চালাচ্ছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy