Advertisement
২১ অক্টোবর ২০২৪
Baba Siddique Murder Case

শুটারদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন, ‘পলাতক’ সেই অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ, সিদ্দিকি-খুনে ধৃত বেড়ে ১০

গত ১২ অক্টোবর বান্দ্রায় জ়িশানের দফতরের সামনেই গুলি করে খুন করা হয় বাবা সিদ্দিকিকে। মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ।

বাবা সিদ্দিকি।

বাবা সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২২:০৫
Share: Save:

এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনে মুম্বই পুলিশের জালে আরও এক জন। মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখার আধিকারিকেরা রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করেন। নভি মুম্বই এলাকায় ভাঙাচোরা জিনিস বিক্রির দোকান ছিল তাঁর। সিদ্দিকি খুনে তাঁর যোগ মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযুক্তই শুটারদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন! ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। রবিবারের গ্রেফতারির পর এনসিপি নেতা খুনে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম ভগৎ সিংহ ওরফে ওম। রাজস্থানের উদয়পুরের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে থাকতেন মুম্বইয়ে। সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শুটার— গুরমেল সিংহ এবং ধর্মরাজ কাশ্যপকে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করে। তাঁদের জেরা করে উঠে আসে একাধিক নাম। প্রকাশ্যে আসে সিদ্দিকি খুনের পরিকল্পনার ছক। কেন তাঁকে খুন করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর খুনের নেপথ্যে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে মুম্বই পুলিশ। ভাড়াটে খুনিদের নিয়োগ করা হয়েছিল এই কাজে। পুলিশ জানতে পারে গুরমেল এবং ধর্মরাজ ছাড়াও আরও এক শুটারকে সিদ্দিকি খুনে কাজে লাগানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর বান্দ্রায় জ়িশানের দফতরের সামনেই গুলি করে খুন করা হয় সিদ্দিকিকে। মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনকেই ধরা হয়েছে শুক্রবার। রায়গড়ের পানভেল এবং কারজাট এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ জনকে ধরেছে পুলিশ। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে শনিবার সিদ্দিকির নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

ওই পুলিশ কনস্টেবলের ভূমিকা নিয়েও ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। নিরপত্তার দায়িত্বে তিনি থাকার পরেও কী ভাবে সিদ্দিকিকে গুলি করা হল? তাঁর সঙ্গে হামলাকারীদের কোনও যোগাযোগ ছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কনস্টেবল অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর কিছুই করার ছিল না। দশেরা উপলক্ষে বাজি ফাটানো হচ্ছিল এলাকায়। বাজির শব্দে গুলির শব্দ অনেকাংশে চাপা পড়ে গিয়েছিল। গুলি চললে তৎক্ষণাৎ কিছু বুঝে উঠতে পারেননি, দাবি করেছেন কনস্টেবল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE