মুম্বইয়ে নিহত এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা (অজিত পওয়ার ঘনিষ্ঠ) বাবা সিদ্দিকির খুনে এ বার তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তিনি থাকতেও কী ভাবে সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা, সেই প্রশ্ন উঠেছে। নিরাপত্তারক্ষী নিষ্ক্রিয় ছিলেন কি না, জল্পনা শুরু হয়েছে তা নিয়েও।
২+১ নিরাপত্তা পেতেন সিদ্দিকি। মৃত্যুর ১৫ দিন আগে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার পর তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২+১ নিরাপত্তার অর্থ হল, দিনে দু’জন এবং রাতে এক জন পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। গত ১২ অক্টোবর রাতে দশেরা উপলক্ষে উৎসব চলাকালীন নিরাপত্তারক্ষীর সামনেই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে ওই সময়ে এক জন পুলিশকর্মীই ছিলেন। তিনি মুম্বই পুলিশের হেড কনস্টেবল শ্যাম সোনাওয়ানে। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এই ঘটনার পর।
কনস্টেবল অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর কিছুই করার ছিল না। দশেরা উপলক্ষে বাজি ফাটানো হচ্ছিল এলাকায়। বাজির শব্দে গুলির শব্দ অনেকাংশে চাপা পড়ে গিয়েছিল। গুলি চললে তৎক্ষণাৎ কিছু বুঝে উঠতে পারেননি, দাবি করেছেন কনস্টেবল। কোথা থেকে গুলি চলছে, তা বুঝে উঠতেও বেশ খানিকটা সময় লেগে গিয়েছিল। কনস্টেবল আরও জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা ওই সময়ে ধোঁয়ার বাজি ফাটিয়েছিল। এতে চারপাশে ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ায় তিনি ভাল করে কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না। সেই সময়েই গুলি চালানো হয়।
এই হেড কনস্টেবলের ভূমিকা নিয়ে আগও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সিদ্দিকির পুত্র তথা বিধায়ক জ়িশান। কেন ব্যর্থতার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি, প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। মুম্বই পুলিশের অপরাধদমন শাখা তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে। তার পরেই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy