(বাঁ দিকে) নিহত অনীশ অবধিয়া। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পোর্শে গাড়ি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র ।
আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কান্নায় ভেঙে পড়ে বললেন পুণের পোর্শেকাণ্ডে নিহত ইঞ্জিনিয়ার অনীশের মা সবিতা অবধিয়া। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সবিতার অভিযোগ, অভিযুক্ত কিশোরই তাঁর ছেলেকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করেছেন।
গত রবিবার, দ্বাদশের পরীক্ষার ফল ভাল হওয়ায় উদ্যাপন করতে বিলাসবহুল পোর্শে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল অভিযুক্ত কিশোর। স্থানীয় বারে গিয়েছিল সে। সেখানে মদ্যপান করে। তার পর মত্ত অবস্থায় ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে পোর্শে চালাচ্ছিল সে। কল্যাণী নগর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই ইঞ্জিনিয়ারের বাইকে ধাক্কা মেরে পিষে দেয়। সেই ঘটনাতেই অনীশ এবং অশ্বিনী কোষ্টার মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ অনীশের মা। তাঁর দাবি, খুন হয়েছেন তাঁর পুত্র। সে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
কাঁদতে কাঁদতে সবিতা বলেন, ‘‘ওই ছেলেটা আমার ছেলেকে খুন করেছে। আমি কখনওই আর আমার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারব না।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘যা হয়েছে, তা ওই ছেলেটার ভুলে। এটাকে খুনও বলা যেতে পারে। কারণ, এত বড় ভুল না করলে, কেউ মারা যেত না। ওর (অভিযুক্ত কিশোর) পরিবারের সদস্যরা আরও মনোযোগী হলে আজকে আমার ছেলে বেঁচে থাকত। এটা খুন ছাড়া আর কিছু নয়।’’
পুত্রের মৃত্যু নিয়ে কথা বলার সময় অভিযুক্ত কিশোরের পরিবারের দিকেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কবিতা। তাঁর কথায়, ‘‘ওর (অভিযুক্ত কিশোর) পরিবার ওকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ওরা বড়লোক, তাই টাকার জোরে ছেলেকে বাঁচিয়ে নেবে ভাবছে। কিন্তু আমার ছেলেটা তো চলে গেল।’’
সবিতা জানিয়েছেন, শেষ তাঁর বিবাহবার্ষিকীতে বাড়ি গিয়েছিলেন অনীশ। সেই শেষ দেখা। দুবাই থেকে সম্প্রতি মায়ের জন্য চকোলেট কিনে এনেছিলেন অনীশ। সেই চকোলেট মাকে দিতে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন। তবে তার আগেই মৃত্যু। সবিতার কথায়, ‘‘আমার ছেলে খুব ভাল ছিল। সবাইকে নিজের করে নিতে পারত।’’
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত কিশোরকে নিম্ন আদালত দুর্ঘটনার ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই কয়েকটি শর্তে জামিন দিয়ে দেয়। আদালত জানায়, আগামী ১৫ দিন ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করতে হবে অভিযুক্ত কিশোরকে। শুধু তা-ই নয়, সড়ক দুর্ঘটনা এবং তার ফলাফল সম্পর্কে ৩০০ শব্দের নিবন্ধও লিখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিশোরের জামিন পাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দেশ জুড়ে। পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরাও। এর পর বুধবার অভিযুক্ত কিশোরের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে জুভেনাইল আদালত। আদালত জানিয়েছে, আগামী ৫ জুন পর্যন্ত ওই কিশোরকে জুভেনাইল হোম বা শিশু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy