রাহুল গাঁধী
কংগ্রেসের সংগঠনকে ঢেলে সাজতে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বার সার্জারি করলেন সনিয়া ও রাহুল গাঁধী। ‘টিম রাহুল’ গড়ার সময় পঞ্চাশের কোঠার নীচের নেতারাই পাচ্ছেন সিংহভাগ প্রাধান্য। কংগ্রেসের মতে, নয়া টিমের সঙ্গে প্রজন্মের রূপান্তরই দলের লক্ষ্য।
কিছু দিন আগেই গুজরাত, গোয়া, কর্নাটকের সংগঠনে রদবদল করে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে দিগ্বিজয় সিংহ, গুরুদাস কামাতের মতো নেতাদের। পরিবর্তে আনা হয়েছে এক ঝাঁক নতুন মুখকে। আজ বদল হল রাজস্থান, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ডে। শীঘ্রই বদল হবে ভোটমুখী হিমাচল, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়-সহ বাকি রাজ্যে। এই ঘোষণা করে দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যে ১৭ জন নতুন এসেছেন, তার মধ্যে ১০ জনই পঞ্চাশে নীচে। অশোক গহলৌত ছাড়া ষাটের উপরে কেউ নেই। দল যেমন তফসিলি জাতি-উপজাতি-ওবিসিদের প্রাধান্য দিচ্ছে, তেমনই প্রজন্মের রূপান্তরও হচ্ছে দলে।’’
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, রাহুলকে সামনে রেখে যখন একটি নবীন টিম তৈরি হচ্ছে, তখন সভাপতি পদে তাঁর অভিষেক কবে হবে?
কংগ্রেস নেতারা এখনও সেই প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ্যে এড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ঘনিষ্ঠ মহলে এক নেতা জানান, পরপর ভোটে হারের পর দল বুঝেছে, সংগঠনকে শক্ত করতেই হবে। রাহুল সেই কাজটি শুরু করেছেন। একবার সেটা শেষ হলে রাহুলের অভিষেক শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা। আনুষ্ঠানিক অভিষেক না হলেও দলের সব সিদ্ধান্তের মাথা তিনিই। সংগঠনও ঢেলে সাজা হচ্ছে তাঁরই ঘনিষ্ঠ নেতাদের দিয়ে।
আরও পড়ুন: জবাব দেবই, বার্তা নরেন্দ্র মোদীর
শুধু মাত্র ভারসাম্য বজায় রাখতে কয়েক জন অভিজ্ঞ নেতাকে রাখছেন সনিয়া গাঁধী।
আজ রাজস্থানের দায়িত্ব থেকেও সরানো হল গুরুদাস কামাতকে। সেখানে সাধারণ সম্পাদক করে আনা হয়েছে কংগ্রেসের নাগপুরের নেতা অবিনাশ পাণ্ডেকে। তাঁর অধীনে চার নবীন মুখ উত্তরপ্রদেশের বিবেক বনশল, উত্তরাখণ্ডের কাজি মহম্মদ নিজামুদ্দিন, দিল্লির দেবেন্দ্র যাদব ও তরুণ কুমারকে আনা হয়েছে। ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পঞ্জাবের রাজ্য সভাপতি পদে এলেন সুনীল জাঠব। হারের পর উত্তরাখণ্ডের রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কিশোর উপাধ্যায়কে। সেখানে এলেন প্রীতম সিংহ। আর দিল্লিতে আইন বিভাগের দায়িত্বে আনা হল বিবেক তানকাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy