দুর্ঘটনার আগের মুহূর্ত ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ছবি: সংগৃহীত। ছবি: সংগৃহীত।
দুই ইঞ্জিনিয়ারকে চাপা দেওয়ার আগের মুহূর্তের দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছে। একটি সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। যদিও সেই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রাস্তা থেকে ইউটার্ন নিলেন দুই বাইক আরোহী। তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই একটি গাড়ি ঝড়ের গতিতে ছুটে গেল। তার পরই দেখা গেল, লোকজন ছোটাছুটি করছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে সময় দুর্ঘটনা ঘটে, সেই সময় রাস্তায় লোকজনও ছিল যথেষ্ট। সরু রাস্তা দিয়ে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল অভিযুক্ত কিশোর। তার আগে কল্যাণনগরের একটি বারে মদ্যপান করেছিল সে। তার পরই পোর্শে নিয়ে কল্যাণনগরের রাস্তা ধরে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো শুরু করে। তার ঠিক একটু আগেই রেস্তরাঁ থেকে বেরিয়ে অনীশেরা বাড়ির পথে যাচ্ছিলেন। তাঁর বন্ধুরা একটু এগিয়ে গিয়েছিলেন। পিছনে ছিলেন অনীশ অবধিয়া এবং তাঁর এক সঙ্গী অশ্বিনী কোস্টা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পোর্শে গাড়িটি ঝড়ের গতিতে গিয়ে দুই বাইক আরোহীকে পিছন থেকে ধাক্কা মেরে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল অশ্বিনীর। গুরুতর আহত অবস্থায় অনীশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গাড়ির গতি এতটাই বেশি ছিল যে, বাইকে ধাক্কা মারতেই আরোহীরা কয়েক ফুট উঁচুতে উঠে আছড়ে পড়েন রাস্তায়। তার পর গাড়ি পিষে দেয় তাঁদের। স্থানীয়েরাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তার পর পুলিশ এসে পোর্শে গাড়ি এবং কিশোরকে আটক করে নিয়ে যায়। তাকে নিম্ন আদালতে সোমবার হাজির করানো হলে আদালত জামিন দিয়ে দেয়। আর এই বিষয় নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, দু’টি লোকের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পরেও কী ভাবে জামিন দেওয়া হল কিশোরকে? অনেক আবার প্রশ্ন তুলেছেন, কিশোর বলেই কি সব অপরাধ মাফ? যদিও পুলিশ এই জামিনের বিরোধিতা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। তাদের আর্জি, অভিযুক্ত কিশোরকে যাতে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে ধরে মামলা রুজু করার অনুমতি দেওয়া হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy