আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। পুণের একটি অনুষ্ঠানে, রবিবার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
গো-সেবা করলে নাকি জেলবন্দিদের ‘অপরাধী মানসিকতা’ও উবে যায়! কোনও বিজ্ঞানীর নয়, এই রোমাঞ্চকর ‘আবিষ্কার’ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবতের।
গো-বিজ্ঞান সংশোধন সংস্থার আয়োজনে এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রবিবার ভাষণ দিচ্ছিলেন আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক। ভাগবত বলেন, ‘‘জেলে গোশালা বানানোর পর দেখা গেল, গরুদের সেবা, পরিচর্যা করতে করতে বন্দিদের অপরাধী মানসিকতা কমে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে সকলকে ভালবাসার অনুভূতি জন্মাচ্ছে বা তা বাড়ছে। এটা নিছকই কথার কথা নয়। জেল কর্তৃপক্ষরা তাঁদের এই অভিজ্ঞতার কথা আমাকে জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতেই এই সব বলছি।’’
হালে বিজ্ঞানের একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে, কাউকে সেবা করলে নিজেও বেশি সুস্থ থাকা যায়। বাড়িতে কুকুর, বেড়াল আমরা পুষি, সেগুলি আমাদের আনন্দে রাখে বলে। তবে সেই গবেষণায় গরুকে আলাদা কোনও গোত্রে ফেলা হয়নি!
যদিও আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক এ দিন জানিয়েছেন, গরু এই ব্রহ্মাণ্ডের জননী। তারা মাটির দেখভাল করে। তারা পশু, পাখিদের দেখভাল করে।
ভাগবতের কথায়, ‘‘গরু এমনকী, দেখভাল করে মানুষেরও। আমাদের নানা রোগের হাত থেকে বাঁচায়। আমাদের হৃদযন্ত্রকে ফুলের মতো কোমল, পবিত্র রাখে।’’
আরও পড়ুন- প্রতিশোধ ন্যায়বিচার হতে পারে না, বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি
আরও পড়ুন- ভারতীয় মুসলিমরা সবচেয়ে সুখী, দাবি মোহন ভাগবতের
ভাগবতের পরামর্শ, গো-রক্ষায় সমাজের সব অংশের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। গো-রক্ষার প্রয়োজন কতটা তা বিজ্ঞানসম্মত উপায়েই সকলকে বোঝাতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy