দিল্লির ক্রিকেট দুর্নীতিতে অরুণ জেটলির পাশেই দাঁড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সূত্রের খবর— আফগানিস্তান সফর থেকে ফিরে মোদী জেটলিকে জানিয়ে দিয়েছেন, মন্ত্রিসভা থেকে বর্তমান অর্থমন্ত্রীকে হারাতে চান না তিনি। জেটলির সততা নিয়েও তাঁর কোনও সংশয় নেই। প্রধানমন্ত্রী এখন জেটলিকে এ বিষয়ে মুখ খুলতেই বারণ করে দিয়েছেন।
মোদীর এই অবস্থানের ভিত মজবুত করেছে দিল্লি সরকারেরই তদন্ত রিপোর্ট। ডিডিসিএ (দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন) দুর্নীতির তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করেছিল অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। ওই রিপোর্টে অর্থমন্ত্রীর নাম নেই। ডিডিসিএ-র সভাপতি হিসেবে জেটলির দুর্নীতির হদিশ পায়নি তদন্ত কমিটি। ২৪৭ পৃষ্ঠার রিপোর্টে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়াম তৈরির ক্ষেত্রে নানা রকম অনিয়মের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু জেটলির জমানায় কোনও দুর্নীতির হদিশ দিতে পারেনি। দিল্লি সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির দফতরে সিবিআই হানার পর কেজরীবাল দাবি করেছিলেন, ওই তদন্ত রিপোর্টের খোঁজেই সিবিআই এসেছিল।
আরও পড়ুন:
নিশানা তিনি, বুঝেই মোদীর সাজা কীর্তিকে
চাপ বাড়িয়ে কীর্তি-বৈঠকে আডবাণীরা
এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই আজ বিজেপি দাবি তুলেছে, কেজরীবাল জেটলির কাছে ক্ষমা চান। কেজরীবাল পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘তদন্তের মুখোমুখি হতে জেটলি ভয় পাচ্ছেন কেন?’’ বিজেপির মুখপাত্র এম জে আকবর বলছেন, ‘‘এর আগে ইউপিএ-জমানায় এসএফআইও-র তদন্তেও জেটলির নাম আসেনি।আর কত বার তদন্ত হবে?’’ বিজেপি মনে করছে, এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় কেজরীবালের দল আম আদমি পার্টি নিজেই কিছুটা পিছু হঠবে।
কীর্তি আজাদ নিজেও এ বিষয়ে সুর নরম করে বলতে শুরু করেছেন, তিনি জেটলির বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। বলেছেন দিল্লির ক্রিকেট দুর্নীতি নিয়ে। গত ন’বছর ধরেই তিনি এ’সব কথা বলছেন। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে কীর্তি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখার করার জন্য সময়ও চেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এখনই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না। কীর্তি শো-কজের কী জবাব দেন, তা-ও দেখতে চায় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি মনে করছে, স্ত্রীর টিকিট না-পাওয়ার মতো কিছু ঘটনায় ব্যক্তিগত স্তরেও কীর্তির ক্ষোভ ছিল। তারই প্রকাশ ঘটেছে এই ঘটনায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy