—ফাইল চিত্র।
গতকালই সুভাষচন্দ্র বসুর ‘হলোগ্রাম’ মূর্তির উদ্বোধন করে তাঁকে প্রেরণা হিসাবে তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজও তার রেশ টেনে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসাবে জাতীয় বালিকা দিবসে, রাষ্ট্রীয় শিশু পুরস্কারের অনুষ্ঠানে মোদীকে দেখা গেল সুভাষচন্দ্রকে স্মরণ করতে।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, আগামী দিনে কেন্দ্রীয় এবং বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির সরকার তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ও প্রচারে নেতাজির ভাবমূর্তিকে ব্যবহার করার কৌশল নেবে। একই ভাবে এর আগে মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীকেও বিজেপি সরকার নিজেদের কর্মকুশলতার কেন্দ্রে স্থাপন করেছে। বল্লভভাই পটেলের বিরাট মূর্তি তৈরি করেছে। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের বক্তব্য, স্বাধীনতার ইতিহাসকে বদলে দিয়ে বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার এক নতুন ভাষ্য তৈরি করতে উদ্যোগী। আর এ ব্যাপারে আদর্শগত ভাবে আরএসএস-এর সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে থাকা মনীষীদেরও নিজেদের সিলমোহর লাগাতে কুন্ঠিত নয় তারা।
‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার’ প্রাপকদের উদ্দেশে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় মোদী আজ বলেন, “দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির মূর্তি স্থাপন হয়েছে। আমরা নেতাজির কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা পাই। কারণ, দেশের জন্য কর্তব্য পালনের কথা তিনি ভাবতেন আর তাঁর কাছে দেশই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নেতাজির কাছ থেকে প্রেরণা নিয়ে দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করতে হবে। এ ভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।’’ দেশের প্রতি কর্তব্য এবং জাতীয়তাবাদের একটি মডেল পুরস্কার প্রাপকদের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি মোদী তাঁর সরকারের নীতি এবং কর্মসূচিগুলির কথা উল্লেখ করেছেন। স্বচ্ছতা অভিযান, আত্মনির্ভর ভারত-এর মত কর্মসূচিকে গণআন্দোলনে পরিণত করার ডাক দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “ভোকাল ফর লোকালকে রূপায়িত করতে আপনারা বড় ভূমিকা নিতে পারেন।” মোদীর পরামর্শ, শিশু-কিশোরেরা অভিভাবকদের উৎসাহিত করতে পারে দেশি পণ্য কেনার জন্য। তা হলে উৎপাদন, কর্মসংস্থান বাড়বে। আজ যে ২৯ জন ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার’ পেয়েছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কেউ নেই।
জাতীয় বালিকা দিবসের প্রসঙ্গেও আজ সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের ভোটে নারীশক্তিকে প্রচারে নিয়ে এসেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। কংগ্রেসের পর এসপি এবং বিজেপিও মহিলা ভোটারদের ব্যাপারে সচেতন হয়েছে। বিজেপির শীর্ষ সূত্রের দাবি, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এ ডাক সবার আগে মোদীই দিয়েছিলেন। মোদী আজ বলেন, “আগে অনেক জায়গায় মেয়েদের প্রবেশের অধিকারই ছিল না। কিন্তু এখন সেই সব ক্ষেত্রে মেয়েরা যে সাফল্য পাচ্ছেন, তা সবাইকে অবাক করে দিচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy