ভোটের আগে জনতার টাকায় জনতার উপরেই নজরদারি রাখার ফন্দি আঁটছে নরেন্দ্র মোদী সরকার— এই অভিযোগ এনে সরব হল রাহুল গাঁধীর দল। সরকারের এই চেষ্টা রুখতে দরকারে আদালতেও যেতে পারে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সম্প্রতি একটি বিশেষ সফটওয়্যার তৈরির জন্য দরপত্র চেয়েছে। যার মাধ্যমে ফেসবুক, টুইটার, জি মেল-সহ সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে চায় সরকার। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘দরপত্রের ভাষায় স্পষ্ট, এই তথ্য হাসিলের নামে আসলে নজরদারি চালাতে চাইছে কেন্দ্র। এই সরকার সকলের ঘরে ঢুকতে চাইছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘নমো অ্যাপ’ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার কল।’’
কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য মেলেনি। কিন্তু মন্ত্রকের কাছে ইতিমধ্যেই এই দরপত্র বাতিলের দাবি জানিয়ে আইনি নোটিস জমা পড়েছে। দু’দিন আগেই ‘ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থা ‘সোশ্যাল মিডিয়া কমিউনিকেশন হাব’ নামে সরকারি উদ্যোগকে অবিলম্বে বন্ধ করতে মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌরের কাছে দাবি জানিয়েছে। তাদেরও আশঙ্কা, এর মাধ্যমে ব্যক্তিপরিসরে ও স্বাধীন বক্তব্যে হস্তক্ষেপ করা হবে। সরকার এই প্রক্রিয়া বন্ধ না করলে মামলা করার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি। কংগ্রেসের অভিষেকও জানান, ‘‘আদালতের পথ আমাদের জন্যও খোলা রয়েছে।’’
সরকারের এক সূত্রের মতে, সরকার দরপত্র ডাকলেও প্রথমে এই কাজের জন্য পর্যাপ্ত সংস্থা এগিয়ে আসেনি। দরপত্রের সময়সীমা তাই বাড়ানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকের আশঙ্কা, সরকার যে সব শর্ত আরোপ করেছে, সেটি পূরণ করতে গেলে আদালতে মামলা গড়াবেই। মনে করা হচ্ছে সেই কারণেই সম্ভবত অনেকে আগ্রহ দেখাচ্ছে না এতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy