ফাইল চিত্র।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে ওঠা বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির কাজকর্মকে সরকারি নজরদারির আওতায় আনার পথে এক ধাপ এগোল কেন্দ্র।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ‘অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকটিভ টেকনোলজি (রেগুলেশন) বিল’-এ অনুমোদন দিয়েছে। দেশের সমস্ত বন্ধ্যত্ব নিবারণ কেন্দ্র ও সেখানকার চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় তথ্যের হিসেব রাখতে একটি জাতীয় রেজিস্ট্রি ও রেজিস্ট্রেশন অথরিটি তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই বিলে। এই ধরনের কোনও কেন্দ্র বা ব্যক্তি ভ্রূণের লিঙ্গ নির্ধারণ করলে বা শুক্রাণু, ডিম্বাণু বা মানুষের হিমায়িত ভ্রূণের কেনাবেচা করলে বিলে কঠোর শাস্তির প্রস্তাবও রয়েছে। চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ এবং বিধিবদ্ধ-নৈতিক চিকিৎসা পদ্ধতির পক্ষে আন্দোলনরত মানুষেরা এই বিলকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, বন্ধ্যত্ব নিবারণের নামে অনেক সংস্থা বেআইনি ব্যবসা চালাচ্ছে। তাতে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ভাবে ধ্বস্ত হচ্ছেন অনেকে। এই বিল আইনে পরিণত হলে এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনেকাংশে রাশ টানা যাবে বলে মনে করেন তাঁরা।
বন্ধ্যত্ব চিকিৎসায় দীর্ঘদিন জড়িত এক প্রবীণ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘অনেক চিকিৎসক বন্ধ্যত্ব ক্লিনিক খুলে রোগীদের গিনিপিগের মতো ব্যবহার করে। টাকার জন্য চিকিৎসা দীর্ঘায়িত করা হয়। অপ্রয়োজনে প্রচুর ওষুধ, টেস্ট প্রভৃতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু অনেকেই এত কিছুর পরেও সন্তান লাভ করেন না। চিকিৎসার নামে যে নোংরা ব্যবসা চলছে আশা করা যায় এই বিলের পরে তা বন্ধ হবে।’’ বিল সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এ দিন বলেন, ‘‘ওই সব ক্লিনিকে যে দম্পতিরা চিকিৎসা করাবেন এবং যাঁরা গর্ভদাত্রী মা হবেন, তাঁদের গোপনীয়তা সম্পূর্ণ রক্ষা করেই রেজিস্ট্রি তৈরি করা হবে। এঁদের প্রত্যেকের প্রজনন বা সন্তান জন্ম দেওয়ার অধিকার রক্ষা করা হবে।’’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘কোন বন্ধ্যত্ব নিবারণ ক্লিনিক বা কেন্দ্র কী ধরনের পরিষেবা দিচ্ছে, কত জন সেখানে চিকিৎসা করাচ্ছেন, কারা চিকিৎসা দিচ্ছেন, চিকিৎসার ফল কী হচ্ছে—এই সব কিছু নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেস তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। এই জাতীয় রেজিস্ট্রি প্রজনন বিজ্ঞানের গবেষণার কাজেও সাহায্য করবে।’’
বিভিন্ন সময়ে এই ধরনের কেন্দ্রে মানুষের প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিপুল টাকার বিনিময়ে শুক্রাণু-ডিম্বাণু-ভ্রূণ বিক্রি, এমনকি বিদেশে পাচারেরও অভিযোগ উঠেছে। এমন অপরাধে প্রথম বার ধরা পড়লে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয় বার ধরা পড়লে ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই বিলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy