Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
National News

বুথ-অ্যাপের সুযোগ নিতে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল

ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসে পরিবর্তনকে সঙ্গী করে ভোট করার কথা এ বার দিল্লি বিধানসভায়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০ ০২:২১
Share: Save:

জোড়া পরিবর্তন!

মোবাইল নিয়ে বুথে প্রবেশ। আর সেই মোবাইলে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতির প্রমাণ মেলানো। ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসে সেই পরিবর্তনকে সঙ্গী করে ভোট করার কথা এ বার দিল্লি বিধানসভায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী-অফিসার ছাড়া আর কারও মোবাইল নিয়ে বুথে প্রবেশাধিকার নেই। এখনও পর্যন্ত তেমনই নির্দেশ কমিশনের। সে-ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে। ভোটারেরা মোবাইল নিয়ে বুথে প্রবেশ করতে পারবেন। কারণ, কোনও ভোটার ‘ডিজিটাল ফোটো ভোটার স্লিপ’ তাঁর মোবাইলে ডাউনলোড করতে পারেন। সেই স্লিপের সঙ্গে থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করে ভোটারের ভোটকেন্দ্রে আসার উপস্থিতির তালিকা করতে পারবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটকর্মী। ‘বুথ-অ্যাপে’র মাধ্যমে সেই কাজ করা যাবে। সেখান থেকে ওই উপস্থিতির প্রমাণ হিসেবে একটি প্রিন্ট আউটও পেতে পারেন সংশ্লিষ্ট ভোটার। এ ক্ষেত্রে ভোটারকে ‘ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপ’ ডাউনলোড করতে হবে। ওই অ্যাপের মধ্যে কোনও ভোটার তাঁর নিজের মোবাইল নম্বরের সঙ্গে ভোটার পরিচয়পত্র (এপিক কার্ড) যুক্ত করতে পারেন। তার ফলে মোবাইলে ভোটার স্লিপ পাবেন সংশ্লিষ্ট ভোটদাতা।

‘বুথ-অ্যাপ’ পদ্ধতি দিল্লি বিধানসভার ৭০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টিতে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বুথ-অ্যাপের ব্যবহার হয়েছিল। যা সম্পূর্ণ সফল বলে দাবি কমিশনের। মহারাষ্ট্রের কসবাপেট বিধানসভা এবং বিহারের সমস্তিপুর লোকসভা এবং ঝাড়খণ্ডের ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনেও এই বুথ-অ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে।

এই বুথ-অ্যাপের ব্যবহার কেন? কমিশনের যুক্তি, এতে ভোটের স্বচ্ছতা বাড়বে। প্রথমত, কিউআর কোড স্ক্যানের পরে সংশ্লিষ্ট ভোটারের উপস্থিতি সরাসরি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, ভোটকর্মীদের কাছে থাকা ভোটার স্লিপ মেলাতে অনেকটা সময় নষ্ট হয়। বুথ-অ্যাপের মাধ্যমে তা মেলানো হলে সেই সময়টাও বাঁচবে।

আরও পড়ুন: পরেশকে আলোচনার টেবিলে চান অমিত শাহ

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, মোবাইলের অপব্যবহার রুখতে যথেষ্ট নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে বুথে। অফলাইনেও কিউআর কোড রাখার ভাবনাচিন্তা রয়েছে কমিশনের। বাড়িতে কমিশনের দেওয়া কিউআর কোড-সহ স্লিপ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরে ভোটকর্মী তা স্ক্যান করলে সংশ্লিষ্ট ভোটারের উপস্থিতির প্রমাণ মিলবে। প্রক্রিয়াটি অনলাইনে হওয়ায় কমিশনে সরাসরি নথিভুক্ত হবে। তাতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর কত ভোট পড়ছে, তা আলাদা করে কমিশনকে জানাতে হবে না দায়িত্বপ্রাপ্ত ভোটকর্মীকে। কারণ, ওই স্লিপগুলি জমা হলেই বোঝা যাবে, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ক’জন ভোটার ভোট দিলেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Mobile Delhi Assembly Election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy