তামিলনাড়ুর নবনিবাহিত দম্পতিদের দ্রুত সন্তান নেওয়ার আর্জি জানালেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। জনসংখ্যার ভিত্তিতে হওয়া আসন পুনর্বিন্যাসের জেরে রাজ্যে লোকসভার আসন সংখ্যা কমতে পারে বলে আগেই আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। এ বার তেমন সম্ভাবনা রুখতে দ্রুত সন্তান নেওয়ার আর্জি জানালেন ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন।
তামিলনাড়ুর বদলে যাওয়া জনবিন্যাস নিয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, “আগে আমরা বলতাম সময় নিয়ে সন্তান নিন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তাই আমাদের বলা উচিত এখনই (সন্তান নিন)। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জানান, তামিলনাড়ুতে সফল ভাবে পরিবার পরিকল্পনা রূপায়িত করার জন্যই সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উত্তর ভারতের তুলনায় কম। আর সেই কারণেই তাঁদের মূল্য চোকাতে হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
গত সপ্তাহেই ‘সম্ভাব্য আসন্ন পুনর্বিন্যাস’ নিয়ে মুখ খুলে স্ট্যালিন অভিযোগ করেছিলেন যে, যে পদ্ধতিতে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাসের চেষ্টা হচ্ছে তাতে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির উপর খাঁড়ার ঘা নেমে আসবে। বিষয়টিকে ‘রাজ্যবাসীর অধিকারে হস্তক্ষেপ’ বলে চিহ্নিত করে এ বিষয়ে প্রতিবাদ সংগঠিত করতে ৫ মার্চ সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার আসন পুনর্বিন্যাস করে লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারে বলে বিরোধীরা আশঙ্কা করছে। জনসংখ্যা অনুযায়ী লোকসভায় সাংসদসংখ্যাও বৃদ্ধি হওয়ার কথা। তা হলে হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলি থেকে লোকসভার আসনসংখ্যা অনেকটা বাড়বে। তুলনায় দক্ষিণের রাজ্যগুলির সাংসদসংখ্যা তেমন বাড়বে না। ফলে গোটা প্রক্রিয়ায় হিন্দি বলয়ের শক্তিশালী দল বিজেপির লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন:
স্ট্যালিনের আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ ভারতের কোনও রাজ্যে লোকসভার আসন কমানো হবে না। তিনি বলেছিলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই লোকসভায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে সীমানা পুনর্বিন্যাসের পরেও, দাক্ষিণাত্যের কোনও রাজ্যের আসন কমানো হবে না।’’ তবে আগামী বছর থেকে জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানান তিনি। শাহি-আশ্বাসে যে তিনি বা তাঁর সরকার নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না, দ্রুত সন্তান নেওয়ার আর্জি জানিয়ে তা স্পষ্ট করলেন স্ট্যালিন।