বৈষ্ণোদেবীতে দুর্ঘটনার পর তৎপরতা প্রশাসনের। ছবি: পিটিআই।
মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের গয়ংগচ্ছ মনোভাবের কারণে চূড়ান্ত অব্যবস্থা এবং উপচে পড়া পূণ্যার্থীদের ভিড়। বছরের প্রথম দিনে জম্মু ও কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ১২ জনের মৃত্যু এবং প্রায় ১৫ জনের আহত হওয়ার জন্য এই দু’টি কারণকেই দায়ী করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, মন্দির চত্বরে যত জন থাকতে পারেন তার চেয়ে অনেক মানুষ শনিবার ভোররাতে বৈষ্ণোদেবীতে জড়ো হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রচুর সংখ্যক ভক্ত জড়ো হওয়ার কারণে সেখান থেকে যাওয়ার কোনও উপায় ছিল না। ফলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় এবং অনেকে মাটিতে পড়ে যান অন্ধকারের কারণে ঠিক কী হচ্ছে, তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেননি। এর ফলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং হুড়োহুড়তে অনেকে পদদলিত হন।’’ তিনি জানিয়েছেন, মন্দিরে অদূরে একটি ঢালু এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে অনেকেই সেখানে পড়ে যান। ভিড় তাদের উপর দিয়ে চলে যায়।
প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে এমনিতেই প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি অতিরিক্ত ভিড় হয়। কাটরা থেকে হেঁটে পাহাড়ি পথে প্রায় ১৪-১৫ কিলোমিটার যেতে হয় বৈষ্ণোদেবীর দর্শন পাওয়ার জন্য। অনেকেই ওই পথ ঘোড়ার চড়ে যান। খাদের দিকে রেলিং এবং জাল দিয়ে ঘেরা। মন্দিরের ভেতরে পথ সঙ্কীর্ণ। সেখানে প্রায় সব সময়েই ভিড় থাকে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মন্দিরের ভেতরে বৈষ্ণোদেবীর মূর্তি যেখানে রয়েছে, সেই সঙ্কীর্ণ পথেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy