প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে তাঁর সিনিয়ররা চুম্বনে বাধ্য করেছেন। প্রতীকী ছবি।
নাবালিকাকে চুম্বন করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল ওড়িশার একটি কলেজে। প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে তাঁর সিনিয়ররা নাবালিকা ছাত্রীকে চুম্বনে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয় ফেসবুকে। র্যাগিংয়ের অভিযোগে ওই কলেজের ৫ ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগও আনা হয়েছে। আটক ছাত্রদের মধ্যে দু’জনের বয়স ১৮-র নীচে।
ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় ওই সরকারি কলেজে র্যাগিংয়ের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ১২ জন ছাত্রকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া নাবালিকা ছাত্রীকে চুম্বনে বাধ্য করা হয় প্রথম বর্ষেরই এক ছাত্রকে। কলেজের সিনিয়ররা ওই ছাত্রকে চুম্বনের ‘আদেশ’ দেন। এমন আদেশ শুনে ওই নাবালিকা ছাত্রী সেখান থেকে উঠে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর হাত ধরে তাঁকে আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করা হয়। ফেসবুকে তা ছড়িয়েও দেন কলেজের ছাত্রছাত্রীরাই। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেননি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত সিনিয়র ছাত্রদের হাতে লাঠি। প্রথম বর্ষের ছাত্র সিনিয়রদের কথা শুনে প্রতিবাদ জানানোর চেষ্টা করলে তাঁকে চড়-থাপ্পড়ও মারা হয় বলে অভিযোগ। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কলেজের অন্যান্যরা জড়ো হয়ে এই র্যাগিং দেখছিলেন। ছাত্রদের পাশাপাশি অনেক ছাত্রীও ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়। তবে তাঁরা কেউ এই কাজে বাধা দেননি, কেউ কোনও প্রতিবাদ করেননি। বরং মেয়েদের হাসাহাসি করতে দেখা গিয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্রদের চিহ্নিত করে বরখাস্ত করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, অভিযুক্তরা বেশিরভাগই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, মূল অভিযুক্ত অভিষেক নাহক, বয়স ২৪ বছর। তিনি চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র। কলেজের ছাত্র পরিষদেরও নেতা তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে আগেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ ছিল।
কিছু দিন আগে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল হায়দরাবাদের একটি কলেজে। সেখানে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল সিনিয়রদের বিরুদ্ধে। তারও আগে খড়্গপুর আইআইটিতে এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। র্যাগিংয়ের কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy