রাহুল গান্ধী (বাঁ দিকে), মিলিন্ড দেওরা (ডান দিকে)। — ফাইল ছবি।
জল্পনাই সত্যি হল। রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরুর ঠিক আগে মুম্বইয়ের কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা ঘোষণা করলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে ৫৫ বছরের পারিবারিক সম্পর্কে তিনি ইতি টেনেছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন সদ্য হাত-ছাড়া কংগ্রেস নেতা। তাঁর দল ছাড়ার খবর বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই গতি পাচ্ছিল। রবিবার তা প্রকাশ্যে ঘোষণাও হয়ে গেল। এই প্রেক্ষিতে ইম্ফল থেকে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু করতে চলা রাহুলের উদ্দেশে বিজেপি কটাক্ষ করে বলেছে, আগে নিজের দলের নেতাদের সঙ্গে ন্যায় করুন!
মুম্বই দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র থেকে এক সময় টানা জিততেন মিলিন্দের বাবা মুরলী। বাবার মৃত্যুর পর ছেলে মিলিন্দও বেশ কয়েক বার ওই লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হন। কিন্তু ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভায় তিনি হেরে যান শিবসেনা প্রার্থী অরবিন্দ সাওয়ান্তের কাছে। যে অরবিন্দ শিবসেনার উদ্ধব শিবিরেই রয়ে গিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে আগামী লোকসভায় মুম্বই দক্ষিণ আসনে মিলিন্দ কি আদৌ টিকিট পাবেন? তা নিয়ে ব্যাপক সংশয় ছিল খোদ দেওরার মনেও। মনে করা হচ্ছে, সেই পাটিগাণিতিক হিসাবনিকাশ করেই দলবদলের কথা ঘোষণা করলেন মিলিন্দ। বস্তুত, মুম্বই দক্ষিণ আসন থেকেই লোকসভার প্রচার শুরু করছেন উদ্ধব। যা না-পসন্দ ছিল মিলিন্দের। কারণ, তাতে এক প্রকার তাঁর টিকিট না পাওয়া নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু কর্মসূচিতে বদল আনেনি উদ্ধব শিবির। যারই ফলশ্রুতি মুরলী-পুত্রের দলত্যাগ বলে মনে করা হচ্ছে।
তিনি যে দল ছাড়ার কথা বিবেচনা করছেন তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল কয়েক দিন আগে দেওরার দেওয়া ভিডিয়োবার্তা থেকেই। যেখানে তিনি অনুগামীদের শান্ত হয়ে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সময় মনে করা হয়েছিল, তিনি এনসিপির অজিত পওয়ার গোষ্ঠীতে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু তা হয়নি। রবিবারই সম্ভবত শিন্ডে গোষ্ঠীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে শামিল হচ্ছেন দেওরা। শিন্ডের সঙ্গে সুইৎজ়ারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের মঞ্চেও হাজির থাকার কথা মিলিন্দের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy