Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Manipur Violence

আসাম রাইফেলসকে মণিপুর থেকে সরাবেন না, এ বার মোদীকে চিঠি দিয়ে আর্জি ১০ কুকি বিধায়কের

এর আগে আসাম রাইফেলসকে মণিপুর থেকে সরানোর আর্জি জানিয়ে মোদীকে চিঠি দেন, সে রাজ্যের ৪০ জন মেইতেই বিধায়ক। এ বার ওই নিরাপত্তা বাহিনীকে রাজ্যে বহাল রাখার আর্জি জানালেন কুকি বিধায়কেরা।

Meitei, Kuki MLA’s opposite demands over Assam Rifles in letter to PM Narendra Modi

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ইম্ফল শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৩ ১১:৫৮
Share: Save:

আসাম রাইফেলসকে মণিপুর থেকে সরাবেন না। এই আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন ১০ জন কুকি বিধায়ক। ঘটনাচক্রে, আসাম রাইফেলসকে মণিপুর থেকে সরানোর আর্জি জানিয়ে মোদীকে চিঠি দিয়েছেন, সে রাজ্যের ৪০ জন বিধায়কও। যাঁদের মধ্যেই অধিকাংশই মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। কুকি এবং মেইতেইদের মধ্যে জাতিগত হিংসায় প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে উত্তপ্ত মণিপুর। সেই আবহে এই পরস্পরবিরোধী চিঠি নয়া সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করছে বলে আশঙ্কা অনেকের।

কুকি বিধায়কদের তরফে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, হিংসাকবলিত মণিপুর থেকে আসাম রাইফেলকে সরিয়ে দেওয়া হলে জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত মানুষদের নিরাপত্তা বিপন্ন হবে। আবার এই আসাম রাইফেলসের বিরুদ্ধেই কুকিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে মেইতেইরা। মেইতেই সংগঠনগুলির অভিযোগ, আসাম রাইফেলসের প্রত্যক্ষ মদতেই মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ চলছে রাজ্যে। কিছু দিন আগে মণিপুর পুলিশও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিল আসাম রাইফেলসের বিরুদ্ধে। মেইতেইদের উপরে অত্যাচারে অভিযুক্ত কুকি সংগঠনগুলিকে আড়াল করারও অভিযোগ ওঠে আসাম রাইফেলসের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে দেয় আসাম রাইফেলস।

কিছু দিন আগেই মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাং লামখাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ চৌকি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল আসাম রাইফেলসের জওয়ানদের। তার পরিবর্তে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআরপিএফকে। হিংসাকবলিত মণিপুরে সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বার আসাম রাইফেলসের বিরুদ্ধে ‘নৃশংস’ আচরণ করার অভিযোগে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে। বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর জেলায় এই বাহিনীর বিরুদ্ধে মিছিলও হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া মেইতেই বিধায়কদের চিঠিতে আসাম রাইফেলসের বদলে মণিপুরে কোনও ‘বিশ্বাসযোগ্য নিরাপত্তা বাহিনী’ মোতায়েন করার দাবি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।

অন্য বিষয়গুলি:

Manipur Violence Manipur Assam Rifles
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy