ব্যারিল ভান্নেইসাঙ্গি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
শিক্ষাদীক্ষার হারে দেশের রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে থাকলেও, রাজনৈতিক পরিসরে মেয়েদের অংশগ্রহণের হার মিজ়োরামে বেশ কম। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ব্যারিল ভান্নেইসাঙ্গি। পেশাগত পরিচয়ে তিনি মিজ়োরামের প্রথম সারির এক রেডিয়ো জকি বা বেতার ঘোষক। নতুন প্রজন্মের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তাও প্রায় প্রশ্নাতীত। কেবল ইনস্টাগ্রামেই তাঁর ফলোয়ার সংখ্যা ২ লক্ষ ৫২ হাজার।
আর এই জনপ্রিয়তার ভর করেই নির্বাচনী লড়াইয়েও সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন ব্যারিল। জ়োরাম পিপলস্ মুভমেন্ট (জ়েডপিএম)-এর প্রার্থী হিসাবে আইজল দক্ষিণ-৩ কেন্দ্রে ১,৪১১ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। ব্যারিলের দলও এ বার ৪০ আসনের মিজ়োরাম বিধানসভায় ২৭টি আসন পেয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। এ বার বিধানসভা নির্বাচনে সে রাজ্যে মোট ৩ জন মহিলা বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। ব্যারিল তাঁদের এক জন। তবে আর একটি নজিরও স্থাপন করেছেন তিনি। বর্তমান মিজ়োরাম বিধানসভায় তিনিই সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক।
মিজ়োরামের বিধানসভা ভোটে এ বার বিভিন্ন দল থেকে মোট ১৭৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তার মধ্যে মাত্র ১৬ জন ছিলেন মহিলা। তাঁদের মধ্যে জয়ের মুখ দেখেছেন ব্যারিল-সহ তিন জন। নিজের এবং দলের জয় স্পষ্ট হতেই নারীদের অধিকার এবং ক্ষমতায়ণ নিয়ে সুদীর্ঘ বক্তব্য পেশ করেন তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি একটা কথাই মেয়েদের বলব যে, আপনাদের লিঙ্গপরিচয় কখনও আপনার ইচ্ছাকে বাধা দিতে পারে না। আপনি কোন সমাজে বাস করছেন, কোন পরিচয়ে বাঁচছেন, সেটা বড় কথা নয়। আপনি যদি মনে করেন, কাজটা করবেন, তবে সেটার জন্য মনোনিবেশ করুন।”
ব্যারিল শিলংয়ের নর্থ ইস্টার্ন হিল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তরের পাঠ শেষ করে টেলিভিশন এবং রেডিয়োর সঞ্চালক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। তার পর অবশ্য আইজল পুরসভার কাউন্সিলর হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ব্যারিলের জয় লিঙ্গসাম্য নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দেবে বলে মনে করছেন সে রাজ্যের অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy