Meet Hitesh Doshi, He built India’s largest solar business despite competition from China dgtl
solar panel
Hitesh Doshi: চিনকে কড়া টক্কর, পাঁচ হাজার টাকার ব্যবসা থেকে বছরে দু’হাজার কোটি আয় হিতেশের
ব্যবসা শুরু করার পুঁজিও তাঁর কাছে ছিল না। পাঁচ হাজার টাকা ধার নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:০২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
হিতেশ যখন ব্যবসা শুরু করেছিলেন কোনও ক্ষেত্রে প্রথম হওয়ার কথা তিনি এক বারও ভাবেননি। পেটের খিদে মেটানোই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
০২১৬
ব্যবসা শুরু করার পুঁজিও তাঁর কাছে ছিল না। পাঁচ হাজার টাকা ধার নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিনি।
০৩১৬
গত ৩১ বছরের পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় দিয়ে আজ সেই পাঁচ হাজার টাকার সংস্থার মালিক প্রতি বছর দু’হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করছেন।
০৪১৬
চিনকে কড়া প্রতিযোগিতায় ফেলেছে তাঁর সংস্থা। এত দিন ভারতের বাজারের সিংহভাগই চিনের দখলে ছিল। এ বার তাতেই ভাগ বসিয়েছে হিতেশের সংস্থা।
০৫১৬
প্রথম থেকে যদিও এই ব্যবসায় হাত লাগাননি তিনি। ১৯৮৯ সালে পাঁচ হাজার টাকা ধার নিয়ে তাপ পরিবহণ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতির ব্যবসা শুরু করেন।
০৬১৬
অনভিজ্ঞ হিতেশকে ব্যবসা দাঁড় করাতে পদে পদে বিপদে পড়তে হয়েছে। একে তো বাজার ধরার ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা, তার উপর ব্যবসা শুরু করার নানা নিয়ম-কানুন।
০৭১৬
চাপ নিতে না পেরে প্রথমে ভেঙে পড়েন তিনি। তা বলে কঠিন রাস্তা ছেড়ে বেরিয়ে আসেননি। ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন।
০৮১৬
এগিয়েছিলেন বলেই এক সময় তাপ পরিবহণ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি তৈরির ব্যবসাতেও পসার জমিয়েছিলেন। কিন্তু এই ব্যবসায় বেশি দিন তাঁর থাকতে ইচ্ছা করল না। নতুন কিছু শুরু করতে চাইছিলেন তিনি।
০৯১৬
তিনি এমন কিছু করতে চাইছিলেন যা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজে লাগবে। ব্যবসার জন্য এক বার জার্মানির একটি সৌর প্যানেল সম্মেলনে গিয়েছিলেন হিতেশ। সেই সম্মেলন থেকেই নতুন ব্যবসার দিশা পেয়ে যান।
১০১৬
পুরনো ব্যবসার পাশাপাশি ২০০৭ সালে গুজরাতের সুরতে সৌর প্যানেল তৈরির কারখানা খোলেন।
১১১৬
তিন বছর সৌর প্যানেল তৈরি করে হিতেশ বুঝেছিলেন ভারতের বাজারের অধিকাংশই চিনের নিয়ন্ত্রণে। তাঁর মতো আরও অনেক ভারতীয় ব্যবসায়ী তো লড়াইয়ে ছিলেনই।
১২১৬
সৌর প্যানেল ব্যবসাতেও তাই কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে।
১৩১৬
২০১০ সালে তাপ পরিবহণ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি উৎপাদনের কারখানা তিনি বিক্রি করে দেন। সেই টাকা কাজে লাগান নতুন ব্যবসায়। সৌর প্যানেলের ব্যবসার ক্ষমতা ৩০ মেগাওয়াট থেকে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে নিয়ে যান আড়াইশো মেগাওয়াটে।
১৪১৬
শুধু প্রতিযোগিতাই এই ব্যবসার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন একেবারেই নয়। সৌর প্যানেলের জন্য কাঁচামাল পাওয়াও ছিল কঠিন। যেমন যে ধরনের কাচের প্রয়োজন হয় তা দেশে একমাত্র বোরোসিল সংস্থাই তৈরি করে থাকে। এই একটি সংস্থার উপর ভরসা করে রয়েছে একাধিক সৌর প্যানেল তৈরির সংস্থা।
১৫১৬
ফলে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম কাঁচামাল দেশ থেকে পেতেন হিতেশ। বাকি সবই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হত।
১৬১৬
আরও একটি সমস্যা ছিল, গ্রাহকদের ভরসা অর্জন করা। তা সত্ত্বেও এখনও দেশের এক নম্বর সৌর প্যানেল তৈরির সংস্থা এটি। এই অতিমারির সময়েও দু’হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছে হিতেশের সংস্থা।