Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Maharashtra Incident

মহারাষ্ট্রে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে অসুস্থ হাজারের বেশি! উপচে পড়ছে হাসপাতাল

মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলায় মঙ্গলবার বিকেলে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আশপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে খাওয়ার পরেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:২১
Share: Save:

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন হাজারের বেশি মানুষ। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে অনেককে। অনুষ্ঠানে যে খাবার দেওয়া হচ্ছিল, তা খাওয়ার পর থেকেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ।

মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলার কোষ্ঠওয়াড়ি গ্রামের ঘটনা। মঙ্গলবার সেখানে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। গ্রামের বাসিন্দাদের পাশাপাশি আশপাশের তিন থেকে চারটি গ্রাম থেকে মানুষ ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। বিকেল ৫টা নাগাদ তাঁদের খেতে দেওয়া হয়। পাত পেড়ে খেয়েছিলেন সকলে।

অভিযোগ, ওই খাবার খাওয়ার পর থেকেই অনেকে অসুস্থ বোধ করেন। কারও পেটখারাপ হয়। কারও বমি হতে শুরু করে। কারও কারও শরীরে দু’টি উপসর্গই দেখা গিয়েছে। অসুস্থতা এতই তীব্র হয়ে ওঠে যে, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। প্রথম দফায় ১৫০ জনের বেশি মানুষ স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে মঙ্গলবার রাতের দিকে অন্তত ৮৭০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে বমি এবং পেটখারাপের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি করানো হয়।

নিকটবর্তী হাসপাতালগুলিতে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি শয্যার ব্যবস্থা করতে হয়। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মঙ্গলবার যাঁরা হাসপাতালে পেটখারাপ এবং বমির কারণে ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কোষ্ঠওয়াড়ি গ্রামের ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই খাবার খেয়েছিলেন। ওই রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাঁচ সদস্যের একটি দল গ্রামগুলিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তের জন্য আলাদা দল পাঠিয়েছে প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই এই অসুস্থতা। কী থেকে তা হল, কে বা কারা এর জন্য দায়ী, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Maharashtra Food Poison Food Poisoning
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE