নিহত তরুণী। —ফাইল চিত্র।
আত্মরক্ষা করতেই হামলা, তার পর খুন! বেঙ্গালুরুতে তরুণী খুনের ঘটনায় এ বার সামনে এল এমনই তথ্য। ‘সুইসাইড নোটে’ খুনের নেপথ্যের কারণ বর্ণনা করেছেন অভিযুক্ত, দাবি তদন্তকারীদের!
গত ২১ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুতে এক কামরার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ত্রিপুরার এক তরুণীর ৫৯ টুকরো দেহ। ফ্রিজের মধ্যে অন্তত দু’সপ্তাহ ধরে পচছিল তাঁর দেহাংশ। নিহত তরুণীর নাম মহালক্ষ্মী। বেঙ্গালুরুর ভিয়ালিকাভাল এলাকায় একটি এক কামরার ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। এই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় মুক্তিরঞ্জন রাই নামে এক ব্যক্তির।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মহালক্ষ্মীর ‘ঘনিষ্ঠ’ বন্ধু ছিলেন মুক্তিরঞ্জন। ঘটনার চার দিন পর ওড়িশার ভদ্রক জেলায় একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একটি নোট উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানে মুক্তিরঞ্জন দাবি করেছেন, মহালক্ষ্মীই তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এমনকি, একটি স্যুটকেসেরও বন্দোবস্ত করে রেখেছিলেন। সেই স্যুটকেসে করে তাঁর দেহ ফেলার ছক ছিল। মহালক্ষ্মীই তাঁকে প্রথমে হামলা করেন বলে দাবি মুক্তিরঞ্জনের। সেই হামলা থেকে বাঁচতেই মহালক্ষ্মীকে খুন করেন বলে চিঠিতে লিখেছেন তিনি।
ওই চিঠির সূত্র ধরেই পুলিশ জানতে পারে খুনের আগে ভিয়ালিকাভালের ফ্ল্যাটে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন রঞ্জন ও নিহত তরুণীর। সেই বচসার মাঝেই ঘটে খুনের ঘটনা। তবে যে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মহালক্ষ্মীর দেহ টুকরো টুকরো করেছিলেন অভিযুক্ত যুবক, সেই অস্ত্র পুলিশ এখনও পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। পুলিশ সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, অভিযুক্ত যুবক কর্নাটকের বাসিন্দা নন। কর্মসূত্রে থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। কাজ করতেন মহালক্ষ্মীর সঙ্গে একই অফিসে। সেখানেই দু’জনের আলাপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy