সরকারি দফতরে শাস্তি যুবকের। ছবি: সংগৃহীত।
গ্রামে হিন্দু, মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের বাস। কিন্তু কবরস্থান থাকলেও সেখানে কোনও শ্মশান নেই। কবরস্থানের পাশে একটি শ্মশান গড়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে তাই সরকারি দফতরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, তাঁদের দাবি তো শোনাই হয়নি, উল্টে ‘শাস্তি’ দেওয়া হয়েছে। গ্রামের এক যুবকের সেই ‘শাস্তি’র ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। যার ফলে অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিককে পদচ্যুত করা হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বরেলীর মীরগঞ্জ এলাকার। সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) উদিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে এক গ্রামবাসীকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, বার বার একই দাবি নিয়ে সরকারি অফিসে হাজির হচ্ছিলেন ওই যুবক। তাই শাস্তিস্বরূপ দফতরেই সকলের সামনে তাঁকে ‘মুরগি’ হতে বলা হয়। হাঁটু মুড়ে বসে কান ধরে মুরগির মতো ভঙ্গি করে থাকতে দেখা গিয়েছে যুবককে। ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
বরেলীর জেলাশাসক জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। তার পরেই অভিযুক্ত এসডিএমকে পদচ্যুত করা হয়েছে।
নিগৃহীত যুবক জানান, তাঁদের গ্রামে কোনও শ্মশান নেই। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বী কারও মৃত্যু হলে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন পরিজনেরা। গ্রামে একটি শ্মশানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আর্জি নিয়ে সরকারি দফতরে গিয়েছিলেন যুবক। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েক জন গ্রামবাসী ছিলেন। প্রথম বারের আর্জিতে কাজ হয়নি। দ্বিতীয় বারেও ফিরে আসতে হয়েছে। তৃতীয় বার আবার একই আর্জি নিয়ে দফতরে হাজির হন তাঁরা। এতেই বিরক্ত হয়ে এসডিএম ওই যুবককে শাস্তি দেন বলে অভিযোগ।
এসডিএম অবশ্য সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, তিনি যখন দফতরে ঢোকেন, তার আগে থেকেই যুবক মুরগির মতো ভঙ্গি করে ছিলেন। তিনি এসে বরং যুবককে সোজা হয়ে দাঁড়াতে বলেন। কিন্তু ভিডিয়োটি তাঁর বিপক্ষে গিয়েছে। তাঁর জায়গায় অন্য এক জনকে এসডিএম হিসাবে নিয়োগ করেছেন জেলাশাসক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy