চুরি যাওয়া সেই টাকা এবং গয়না। ছবি : টুইটার থেকে।
বাড়ি থেকে একের পর এক উধাও হয়ে যাচ্ছিল সোনার গয়না। কিন্তু তার পরও পুলিশে অভিযোগ করেননি মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ী! গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ঘটনার সূত্রপাত। তার পর থেকে প্রতি মাসেই কোনও না কোনও সোনার জিনিস হাওয়া হয়ে যাচ্ছিল বাড়ি থেকে। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী পুলিশে যাননি কারণ, তাঁর মনে হয়েছিল জ্বিন গয়না চুরি করছে।
গত সেপ্টেম্বরে আচমকাই বাড়ি থেকে মোটা টাকাও চুরি যায় ওই ব্যবসায়ীর। তার পরই তাঁর টনক নড়ে। পুলিশের কাছে যান ব্যবসায়ী এবং জানান জ্বিন কোনও মতেই টাকা চুরি করতে পারে না। তত দিনে অবশ্য সব মিলিয়ে ৪০ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের অর্থ এবং সোনাদানা খুইয়েছেন তিনি।
মুম্বইয়ের ওই ব্যবসায়ীর নাম আব্দুল কাদের সাব্বির ঘোঘাওয়ালা। মুম্বইয়ের বাইকুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। পুলিশ পুরো ঘটনাটি শুনেই বুঝতে পারে এই ঘটনায় বাড়িরই কেউ জড়িত। কয়েক দিনের মধ্যেই তদন্ত করে চোর ধরে তারা। জানা যায় আব্দুল কাদেরের বাড়ি থেকে সোনাদানা এবং নগদ অর্থ সরাচ্ছিল তার ১২ বছরের ভাগ্নি।
পুলিশ তাকেই জেরা করতে জানতে পারে, মামার বাড়ি থেকে তাঁকে সোনাদানা এবং নগদ অর্থ সরানোর নির্দেশ দিত তারই এক তুতো ভাই। তার কথা শুনেই সে ওই জিনিসপত্র সরিয়েছে। পুলিশ ওই কিশোরীকে জেরা করে এর পর তার তুতো ভাই এবং ভাইয়ের দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করেছে চুরি যাওয়া অর্থ এবং সোনার গহনাও। সব মিলিয়ে ৪০ লক্ষ ১৮ হাজার টাকার সোনা পাওয়া গিয়েছে তাদের কাছে। তবে পুলিশ ওই কিশোরীকে গ্রেফতার করেনি। তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy