তিনি বিয়ে করতে চান। নিজের মনের কথা বাড়িতে একাধিক বার বলেছিলেন। কিন্তু তাতে খুব একটা সায় দেয়নি পরিবার। বার বার বলার পরেও যখন কোনও কাজ হচ্ছিল না, শেষমেশ এক নতুন কৌশল নিলেন যুবক। বিয়ের জন্য পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে নিজেকে ‘মেরে’ ফেললেন। আর সেই ছবি বন্ধুর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে বাড়িতে তাঁর ‘মৃত্যুর’ বার্তাও পৌঁছে দিলেন। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর।

বদায়ুঁর দুদেনগরের বাসিন্দা অশোক কুমারের ছেলে অজয়। গত কয়েক মাস বিয়ের জন্য বাবাকে চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। ছেলেকে অশোক সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, এখন বিয়ে দেওয়া যাবে না। বাবার কথায় গোঁসা হয়েছিল ছেলের। বাবাকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার উপায় খুঁজছিলেন তখন থেকেই। ১১ মার্চ আচমকা বাড়ি থেকে গায়েব হয়ে যান অজয়। ১২ মার্চ নিজের মোবাইলে একটি অডিয়োবার্তা রেকর্ড করেন। সেই অডিয়োবার্তায় বাবাকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমাকে অপহরণ করা হয়েছে। আমাকে মারধর করা হচ্ছে, বাঁচাও!”

ছেলের অডিয়োবার্তা পেয়ে ঘাবড়ে যান অশোক। এর পরই পুলিশের কাছে বিষয়টি জানান তিনি। পর দিন, অর্থাৎ ১৩ মার্চ রাতে একটি ঝোপের মধ্যে জিভ বার করে, চোখ বন্ধ অবস্থায় শুয়ে বন্ধুকে দিয়ে একটি ছবি তোলান অজয়। তার পর সেই ছবি বন্ধুর হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান। অংশুল নামে ওই বন্ধু অজয়ের বাবার কাছে সেই ছবি পৌঁছে দেন। ছেলের ‘মরদেহের’ ছবি দেখে আঁতকে ওঠেন অশোক। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কাছে যান। সেই ছবি নিয়ে পুলিশ তদন্তে নামে। অজয়ের মোবাইলের লোকেশন চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়। তখন দেখা যায়, অজয়ের মোবাইলের লোকেশন দিল্লিতে। এর পরই পুলিশের একটি দল কাসগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। অজয় কখন কাসগঞ্জ হয়ে উঝানির দিকে আসছিলেন। মাঝপথেই তাঁকে আটক করে পুলিশ। তখনই গোটা নাটক প্রকাশ্যে আসে।