বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে মিক্সি চালাচ্ছেন হনুমানথাপ্পা।
তাঁর বাড়িতে দিনে ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। কিন্তু পড়শিরা সর্ব ক্ষণই বিদ্যুৎ পান। তিনি কেন এত কম বিদ্যুৎ পাচ্ছেন তা নিয়ে বিদ্যুৎ দফতর থেকে প্রশাসন সব জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে অতিষ্ঠ হয়ে হনুমানথাপ্পা এক দিন বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে এক আধিকারিককে বলেন, “আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে ফোন চার্জ দিতে পারছি না। মিক্সার গ্রাইন্ডারও চালাতে পারছি না। কিছু করুন! এগুলি তো প্রয়োজনীয় বিষয়। পড়শির ঘরে বার বার গিয়ে তো আর ফোন চার্জ দেওয়া যায় না বা মিক্সি চালানো যায় না!”
হনুমানথাপ্পার এই কথা শুনে রসিকতার সুরে ওই আধিকারিক বলেছিলেন, “এত যখন সমস্যা তা হলে বিদ্যুৎ দফতরে গিয়ে মশলা বাটিয়ে আনুন।”
এই উত্তরটারই যেন অপেক্ষা করছিলেন হনুমানথাপ্পা। এর পর থেকে তিনি রোজ বিদ্যুৎ দফতরে যাওয়া শুরু করেন। সেখানে গিয়ে ফোন চার্জ দেন, মিক্সিতে মশলা বাটেন, আবার বাড়ি ফিরে আসেন। এ ভাবে ১০ মাস একই কাজ করে গিয়েছেন হনুমানথাপ্পা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাও কোনও আপত্তি করেননি।
হনুমানথাপ্পার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে তিনি বিদ্যুৎ দফতরকে হনুমানথাপ্পার বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ দেন। তাঁকে আশ্বস্ত করা হয় অস্থায়ী ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। কিন্তু মাস কেটে গেলেও বিদ্যুৎ আসেনি হুমানথাপ্পার ঘরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy