Advertisement
E-Paper

পাশে শুয়ে থাকা স্বামীর মৃত্যু ঘুমের মধ্যে, টেরই পেলেন না স্ত্রী! দেহ নিয়ে ১৩ ঘণ্টার ভয়ঙ্কর ট্রেনসফর

রেলপুলিশ জানিয়েছে, অযোধ্যা যাওয়ার জন্য স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সাবরমতী এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন রাজকুমার। সংরক্ষিত কামরায় তাঁদের আসন ছিল।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:১৩
Share
Save

এক্সপ্রেস ট্রেনে সফর করছিলেন এক দম্পতি। সফরের সময়ে ট্রেনেই মৃত্যু হয় স্বামীর। পাশে বসে থাকা স্ত্রী টেরই পাননি যে, স্বামীর মৃত্যু হয়েছে ঘুমের ঘোরেই। ওই অবস্থাতেই স্বামীর পাশে বসে ১৩ ঘণ্টা সফর করেন মহিলা। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার। রেলপুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তি গুজরাতের আমদাবাদের বাসিন্দা। নাম রাজকুমার।

রেলপুলিশ জানিয়েছে, অযোধ্যা যাওয়ার জন্য স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সাবরমতী এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন রাজকুমার। সংরক্ষিত কামরায় তাঁদের আসন ছিল। রাতে ট্রেনে ওঠায় খাওয়াদাওয়া করে সন্তানরা যে যার আসনে চলে যায়। তবে রাজকুমারের পাশেই বসে ছিলেন তাঁর স্ত্রী প্রেমা। তিনি জানান, কিছু ক্ষণ গল্প করার পর রাজকুমার শুয়ে পড়েন। তাঁর পাশেই বসে ছিলেন তিনি। ঘুমের মধ্যেই রাজকুমারের মৃত্যু হয়। সকাল ৮টার সময় ট্রেন অযোধ্যা পৌঁছলে রাজকুমারকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করেন তাঁর স্ত্রী। কিন্তু না ওঠায় সন্দেহ হয় তাঁর। ট্রেন তখন বীরাঙ্গনা লক্ষ্মীবাই স্টেশনে দাঁড়িয়ে।

এই ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায়। ট্রেনের সহযাত্রীদের সহযোগিতায় রেলপুলিশে খবর দেন মহিলা। চিকিৎসকও নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চিকিৎসক জানিয়ে দেন, বেশ কয়েক ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে রাজকুমারের। তাঁর স্ত্রী প্রেমা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৮টা বেজে গেলেও স্বামী উঠছিলেন না। তাঁর শরীরও গরম ছিল। ফলে আঁচ করতে পারেননি কী ঘটে গিয়েছে। কয়েক বার ডাকার পরেও সাড়া না পেয়ে আর বিরক্ত করতে চাননি।

রাজকুমারের এক ঘনিষ্ঠ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার জেরে আহত হয়েছিলেন রাজকুমার। তাঁর চিকিৎসা করাতে অযোধ্যা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ট্রেনের মধ্যে কখন মৃত্যু হয়েছে কেউ টের পাননি।

Sabarmati Express Ayodhya Death

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}