দিল্লিতে যুবকের হাতে খুন ৫৫ বছরের প্রৌঢ়। —প্রতীকী চিত্র।
দিল্লিতে প্রৌঢ়কে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ২৪ বছরের ওই যুবককে অনেকে ‘পণ্ডিতজি’ নামেও চেনেন। তিনি কিছু দিন মন্দিরে কাজকর্ম করেছেন, সেই থেকেই এই নামে তাঁর পরিচিতি তৈরি হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে তিনি অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
৩০ অক্টোবরের ঘটনা। দিল্লির পালাম কলোনি থেকে একটি ফোন যায় পুলিশের কাছে। একটি বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসার খবর পুলিশকে দেন স্থানীয়েরা। পুলিশ গিয়ে বন্ধ ঘরের তালা ভেঙে উদ্ধার করে প্রৌঢ়ের দেহ। পচাগলা অবস্থায় দেহটি পড়ে ছিল ঘরের ভিতরেই। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই প্রৌঢ় এক মহিলার সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। কয়েক সপ্তাহ আগে মহিলা অন্ধ্রপ্রদেশে চলে গিয়েছেন। এ ছাড়া, ‘পণ্ডিতজি’ নামের এক যুবক প্রায়ই প্রৌঢ়ের কাছে আসতেন বলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। কিছু দিন আগে থেকেই যিনি নিরুদ্দেশ।
তদন্তের মাধ্যমে সেই ‘পণ্ডিতজি’কে খুঁজে বার করে পুলিশ। তাঁকে পাওয়া যায় উত্তরপ্রদেশের এটা জেলায়, তাঁর গ্রামের বাড়িতে। ২৪ বছরের যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশকে তিনি জানান, ২১ অক্টোবর তিনি প্রৌঢ়ের সঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলেন। সেই সময়ে কোনও বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়। প্রৌঢ় তাঁকে পর পর থাপ্পড় মারেন বলে অভিযোগ। তাই রাগের মাথায় তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে প্রৌঢ়কে খুন করেন। ওই অস্ত্র প্রৌঢ়ের কাছেই রাখা থাকত, পুলিশকে জানিয়েছেন অভিযুক্ত।
যুবক আরও জানান, খুনের পর তিনি কয়েক দিন ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। সময়মতো জলের পাম্প চালিয়ে দিতেন তিনি। যাতে প্রতিবেশী বা বাড়ির ভাড়াটেদের কারও সন্দেহ না হয়। পরে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন যুবক। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy