অভিযুক্ত স্বামী সঞ্জয় কুমার।
হাতে কারও একটা কাটা নাক। হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢুকে এক ব্যক্তি বলেন, “স্যর, আমি বৌয়ের নাক কামড়ে কেটে ফেলেছি।” ওই ব্যক্তির মুখে এমন কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন থানার কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরীর হায়দরাবাদ থানা এলাকায়।
অভিযুক্তের নাম সঞ্জয় কুমার। দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের পরই স্ত্রী বন্দনা বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। বেশ কিছু দিন হয়ে যাওয়ার পরও যখন স্ত্রী ফিরছিলেন না, সঞ্জয় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যান।
পুলিশের কাছে সঞ্জয় দাবি করেন, স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে চাননি। আর এই বিষয় নিয়েই দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি একটা সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, রাগের বশে আচমকা স্ত্রীর নাকে কামড় বসিয়ে দেন সঞ্জয়। তাঁর কামড়ের জোর এতটাই বেশি ছিল যে, বন্দনার নাক কেটে সঞ্জয়ের মুখে চলে আসে। এর পরই সঞ্জয় স্ত্রীর সেই কাটা নাক নিয়ে সোজা থানায় হাজির হন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার কথা জানতে পেরে তাঁরা সঞ্জয়ের শ্বশুরবাড়িতে হাজির হন। সেখান থেকে তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। লখিমপুর খেরীর একটি হাসপাতালে ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করানো হয় তাঁকে।
বছর দেড়েক আগে লখিমপুরের রতসিয়া গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়ে ঢকিয়া গ্রামের বাসিন্দা বন্দনার সঙ্গে। এটি সঞ্জয়ের দ্বিতীয় বিয়ে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। বন্দনার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy