Advertisement
E-Paper

পরিচারিকার উপর অত্যাচার করছে মা! বাঁচাতে বন্ধুকে ফোন সীমার ছেলের, তার পরই ফাঁস কুকীর্তি

বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হয়েছিলেন সীমা পাত্র। পরিচারিকাকে হেনস্থার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। আহত পরিচারিকাকে উদ্ধার করেছেন সীমার ছেলের বন্ধু।

নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন সীমা।

নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন সীমা। ছবি টুইটার।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৩৯
Share
Save

পরিচারিকাকে নির্যাতন করছে মা। চোখের সামনে এই নির্মম দৃশ্য সহ্য করতে পারছিলেন না আয়ুষ্মান পাত্র। শেষমেশ বন্ধুকে ফোন করে মাঝরাতে সাহায্য চাইলেন তিনি। তাঁর সেই বন্ধু বিবেক আনন্দ বাস্কে অত্যাচারের হাত থেকে সেই পরিচারিকাকে শুধু বাঁচালেনই না, অভিযুক্ত সীমা পাত্রকে পুলিশের হাতে তুলেও দিলেন।

পরিচারিকাকে মারধর, অত্যাচার, এমনকি মেঝেয় পড়ে থাকা প্রস্রাব চাটানোর অভিযোগ ওঠে সীমা পাত্র নামে ঝাড়খণ্ডের এক বিজেপি নেত্রীর বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে বিজেপি থেকে সাসপেন্ডেড। মহিলা পরিচারিকার উপর অত্যাচারের অভিযোগে সীমাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

কী ভাবে সীমার কীর্তি ফাঁস হল? সেই কাহিনিই তুলে ধরেছেন সীমার পুত্র আয়ুষ্মানের বন্ধু, পেশায় সরকারি কর্মী বিবেক। এনডিটিভিকে বিবেক বলেছেন, ‘‘গত ২ অগস্ট রাত সওয়া ১টা নাগাদ আয়ুষ্মান ফোন করে মেয়েটিকে (পরিচারিকা) বাঁচানোর কথা বলে। ও জানায় যে, নির্মম ভাবে মেয়েটির উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন সীমা।’’

এর পর বিবেক আরও বলেন, ‘‘ওই একই সময়ে আয়ুষ্মানের মা-ও ফোন করেন। উনি জানান যে, আয়ুষ্মানের মানসিক অবস্থা ভাল নয়। অত্যাচার করছে। তোমায় কিছু একটা করতে হবে।’’ ফোন পেয়ে সীমার বাড়ি যান বাস্কে। কিন্তু তাঁকে বাড়ির মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিবেকের অভিযোগ, পরিচারিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে ছেলে, এটা বুঝতে পেরে নিজেকে বাঁচাতে আয়ুষ্মানকে মানসিক রোগী সাজিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর ছক কষেন সীমা। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। শেষমেশ ওই পরিচারিকাকে উদ্ধার করেন বাস্কে। পরিচারিকার একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই সীমাকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিবেকের কথায়, ‘‘এক জন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে মেয়েটিকে বাঁচানো আমার নৈতিক কর্তব্য।’’ রাঁচীতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এক সঙ্গে পড়াশোনা করেছিলেন আয়ুষ্মান ও বিবেক। সেই থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব।

অন্য দিকে, পরিচারিকাকে হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সীমা। নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘‘আমায় ফাঁসানো হয়েছে। এটা রাজনীতি।’’ ছেলেকে জোর করে হাসপাতালে ভর্তি করানোরও অভিযোগও উঠেছে সীমার বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে সীমার দাবি, ও অসুস্থ ছিল বলেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

national news Jharkhand

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}