মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
গত জুলাইয়ে মহারাষ্ট্রে অনন্ত অম্বানীর বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুম্বই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সফরে ‘মাতোশ্রী’তে গিয়ে উদ্ধব ঠাকরেকে পাশে নিয়ে জানিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে যাবেন।
তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, মমতা দূরস্থান, মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই তৃণমূলের অন্য কোনও শীর্ষ নেতারও। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সামনেই পশ্চিমবঙ্গে ছ’টি আসনে উপনির্বাচন। ব্যস্ততায় ডুবে রয়েছেন তৃণমূল নেতারা। দ্বিতীয়ত, এ কথাও দলীয় সূত্রে বলা হচ্ছে— বিরোধী পক্ষে উদ্ধবের শিবসেনা, শরদ পওয়ারের এনসিপি এবং কংগ্রেসের প্রার্থী এবং তাঁদের নেতারা রয়েছেন। ফলে অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট করতে চান না তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে মহারাষ্ট্রের ভোট নিয়ে কিছু বার্তা বা পরামর্শ তৃণমূল দিতে চায় ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের।
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতে, “নারীশক্তি এবং কর্মসংস্থান মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটের কেন্দ্রীয় বিষয় হতে চলেছে। মোট সাড়ে আট কোটি যুবা এবং নারী নিঃসন্দেহে বিধানসভা নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।” এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, “গত দু’বছরে যুবাদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ। প্রতি তিন জন যুবার মধ্যে এক জনের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ বা চাকরি— কোনওটাই নেই। শহুরে মহিলাদের ২০২৩ সালে বেকারত্বের হার ৯ শতাংশ। তার
মধ্যে শহুরে যুবতীদের বেকারত্বের হার ২০ শতাংশ।”
ডেরেকের দাবি, মহিলা এবং যুব সম্প্রদায়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের পরিকল্পনাগুলিকে মডেল হিসেবে দেখতে পারে ‘ইন্ডিয়া’র শরিকরা। যদিও বঙ্গে কর্মসংস্থান নিয়ে যথেষ্টই প্রশ্ন রয়েছে বিরোধীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy