Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: ‘হোপ টোয়েন্টি ফোর’, সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে ‘ইতিবাচক’ বৈঠক সেরে বললেন মমতা

মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা কমলনাথ এবং আনন্দ শর্মার সঙ্গে দেখা করেন মমতা। জোট নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়েছিলেন কমলনাথ।

দিল্লিতে সনিয়ার বাসভবনে মমতা।

দিল্লিতে সনিয়ার বাসভবনে মমতা।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২১ ১৬:৩৬
Share: Save:

পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে বাকি এখনও বছর তিনেক। তবে এখন থেকেই বিজেপি বিরোধী জোটের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়েও একই বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি-কে হারাতে সবাইেক একজোট হয়ে লড়তে হবে। আমি একা কিছু করতে পারব না। আমি লিডার নই, আমিও ক্যাডার। আমি স্ট্রিট ফাইটার। একসঙ্গে লড়াই করতে হবে সকলকে।’’

সনিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বিরোধী ঐক্য এবং পেগাসাস নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধী ঐক্য, পেগাসাস এবং কোভিড নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে।’’ ২০২৪-এ বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশা জোগাতে ‘হোপ টোয়েন্টি ফোর’ বার্তাও দেন মমতা।

বিরোধী জোট গড়তে আলোচনায় প্রস্তুত বলে ২১-এর মঞ্চ থেকেই জাতীয় নেতা-নেত্রীদের বার্তা দিয়েছিলেন মমতা। তার পই সোমবার পাঁচ দিনের দিল্লি সফরে বেরিয়ে পড়েন তিনি। বুধবার বিকেলে ১০ নম্বর জনপথে সনিয়ার বাসভবনে পৌঁছন মমতা। বিকেল সাড়ে ৪টেয় দু’জনের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গাঁধীও।

সনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের আগে মঙ্গলবার প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল এবং আনন্দ শর্মার সঙ্গেও দফায় দফায় কথা হয় মমতার। সাউথ অ্যাভিনিউয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে গিয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করেন কমলনাথ এবং আনন্দ। মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে, দু’জনেই জোট নিয়ে আশা প্রকাশ করেছিলেন। ২৪-এর আগেই জোট গড়ে ফেলা সম্ভব কি না, তা নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছিলেন কমল।

বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর বুধবারই প্রথম সনিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি হলেন মমতা। তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে তৎপরতা চোখে পড়ছিল। এমনকি এই বৈঠকেই ২০২১-এর বিজেপি বিরোধী জোটে মৌখিক সিলমোহর পড়ে যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে মমতার সমীকরণ আলোচনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কি না, সেই আশঙ্কাও ছিল। তাই কমলের সঙ্গে মমতার সাক্ষাতের পর আশার আলো দেখেছিল বিজেপি বিরোধী শিবির। কারণ কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরেও কমলের মধ্যস্থতাতেই ২০০১ সালে তৃণমূল এবং কংগ্রেস জোট বেঁধে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় লড়াই করতে নামে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy