মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শরদ পাওয়ার। মুম্বইয়ে । বুধবার ।
রাজনৈতিক কেরিয়ারে তাঁদের দু’জনেরই অনেক মিল। দু’জনেই কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে নিজের দল গড়ছেন এবং সফল হয়েছেন। দেখা গেল বিজেপিবিরোধী অবস্থানেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা শরদ পওয়ার সমমনস্ক। তাঁরা দু’জনেই মনে করেন, বিজেপি-র বিরুদ্ধে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তিকে আরও জোরালো হতে হবে। সমমনস্ক দলগুলিকে জোট বাঁধতে হবে। যদিও মমতা মনে করেন কোনও দল যদি লড়তে না চায় তা হলে কিছু করার নেই। সে ক্ষেত্রে বাধ্য হয়েই বাকিদের নিজেদের মতো লড়তে হবে।
মমতার এই মন্তব্যের লক্ষ্য যে কংগ্রেস নেতৃত্ব তা স্পষ্ট। যদিও মমতা নিজে কংগ্রেসের নাম করেননি। যেমন গত কয়েকদিনে দিল্লিতে একের পর এক কংগ্রেসের বৈঠকে যোগ না দিয়েও তৃণমূল স্পষ্ট করেনি কংগ্রেস সম্পর্কে তাদের অবস্থান কী। এমনকি দিল্লিতে গিয়েও সনিয়ার সঙ্গে দেখা না করার কারণ জানতে চাওয়া হলে বিরোধের ইঙ্গিত এড়িয়ে গিয়েছেন মমতা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে অবশ্য মমতাকে কংগ্রেস সম্পর্কে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করতেই বলা হয়েছিল। মমতা সরাসরি সেই প্রশ্নের জবাব দেননি আবার এড়িয়েও যাননি।
একই ভাবে স্পষ্ট হয়নি আরও একটি বিষয়। লোকসভা ভোটের আগে মুম্বইয়ে এনসিপির সঙ্গে তৃণমূলের জোট বাঁধার কোনও সম্ভাবনা আছে কি না। ঘটনাচক্রে দিনদুয়েক আগেই গোয়ার এনসিপি বিধায়ক চার্চিল অ্যালেমাও তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাই জোট আদৌ হবে কি না তা নিয়ে একটা সন্দেহ রয়েছে। বুধবার মমতার মুম্বই সফরের দ্বিতীয় দিনে এনসিপি-র প্রতিষ্ঠাতা শরদের বাড়িতে বৈঠক ছিল তৃণমূল নেত্রীর। সেখানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন। প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠকের পর শরদকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। প্রথমে শরদই কথা বলেন। বিজেপি বিরোধী দলগুলির জোট বাঁধার উপর জোর দেন শরদ। তাতেই মমতার সংযোজন, ‘‘যেখানে যে দল শক্তিশালী সেখানে তাদের সঙ্গে নিয়েই লড়তে হবে। তবে কেউ যদি না লড়তে না চায় কী করব? তাহলে নিজেদেরই লড়তে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy