আদালতে বয়ান বদল করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির খুনের মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত শিবকুমার যাদব। পুলিশের দাবি ছিল, সিদ্দিকিকে খুন করার নেপথ্যে ছিলেন শিবকুমারই। এনসিপি নেতাকে লক্ষ্য করে তিনিই গুলি চালিয়েছিলেন। জেরায় শিবকুমার খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলেও দাবি করেছিল পুলিশ। যদিও আদালতে শিবকুমার দাবি করেন, বাধ্য হয়েই খুনের কথা স্বীকার করেছেন। ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল তাঁকে! পুলিশের বিরুদ্ধেই আঙুল তুললেন শিবকুমার। শুধু শিবকুমার একা নন, এই খুনের ঘটনার তদন্তে আরও দুই অভিযুক্তও বয়ান বদল করেছেন।
শিবকুমারের আইনজীবী অজিঙ্ক মিরগাল আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলকে জেলে অত্যাচার করা হয়েছে। খুনের কথা স্বীকার করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে বার বার। শুধু তাঁকে একা নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে এমন হুমকিও দেওয়া হয়। শিবকুমার ছাড়া আরও দুই অভিযুক্ত সুজিত সুশীল সিংহ এবং আদিত্য গুলঙ্করও আদালতে নিজেদের বয়ান বদল করেছেন।
আরও পড়ুন:
গত বছরের ১২ নভেম্বর বান্দ্রায় ছেলে জিশানের দফতরের সামনে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন সিদ্দিকি। ওই খুনের নেপথ্যে বিশ্নোই গ্যাংয়ের যোগ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাঁরাই জানান, সিদ্দিকিকে খুন করতে দীর্ঘ দিন ধরে বড় ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই ঘটনায় অনেকে জড়িত ছিলেন। কাউকে অস্ত্র সংগ্রহ করতে, কাউকে আবার বাইকের ব্যবস্থা করতে, আবার কাউকে টাকা লেনদেনের জন্য খুনের পরিকল্পনায় জোড়া হয়েছিল। একে একে বহু সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডে পুলিশ ইতিমধ্যেই ৪৫৯০ পৃষ্ঠার চার্জশিট জমা দিয়েছে। জেলবন্দি কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোল বিশ্নোই, সিদ্দিকি হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত শুভম লোঙ্কার, জিশান আখতার-সহ মোট ২৬ জনের নাম রয়েছে ওই চার্জশিটে। রয়েছে তিন শুটার শিবকুমার, গুরমেল সিংহ ও ধরমরাজ কাশ্যপের নামও।