দিল্লি ভোটের দিনই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমে পুণ্যস্নান করার কথাই ছিল তাঁর। দিনক্ষণও আগেই জানানো হয়েছিল। তবে প্রয়াগরাজের পদপিষ্টের ঘটনার পর তাঁর মহাকুম্ভে যাওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মোদীর প্রয়াগরাজের সূচি জানানো হল।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ১০টা ০৫ মিনিট নাগাদ মোদীর বিমান প্রয়াগরাজে নামার কথা। সেখান থেকে হেলিকপ্টারের চেপে প্রয়াগরাজের আরিয়াল ঘাটে পৌঁছবেন তিনি। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আরিয়াল ঘাটে মোদীর হেলিকপ্টার নামার কথা। সেখান থেকে নৌকায় চেপে মহাকুম্ভে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে সঙ্গমে স্নান করবেন তিনি। তার পর আবার নৌকায় চেপে আরিয়াল ঘাটে আসবেন মোদী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে বিমানবন্দর এবং তার পর সেখান থেকে সেনাবাহিনীর বিমানে প্রয়াগরাজ ত্যাগ করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। মহাকুম্ভে আগত সাধুসন্তদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তিনি।
কুম্ভে মোদীর পুণ্যস্নানের দিন হিসাবে ৫ ফেব্রুয়ারিকে বেছে নেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। কারণ, বুধবারই দিল্লিতে বিধানসভা ভোট। সেই দিনই কুম্ভে যাওয়ার নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে বলে মত অনেকের। বিরোধীদের দাবি, এ সবই হিন্দুত্বের বার্তা দিয়ে ভোটারদের মনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা। ‘ভোটের রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করছে বিরোধী শিবির।
আরও পড়ুন:
গত ২৯ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানের আগে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসাবে, সেই দুর্ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়। তার পরেই মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। বিরোধীদের দাবি, মৃতের সংখ্যা লুকোচ্ছে যোগী সরকার, যা নিয়ে সোমবার সংসদে বাজেট অধিবেশনের শুরু থেকেই সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। সংসদের দুই কক্ষেই কুম্ভ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। সেই আবহে মোদীর কুম্ভযাত্রা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অনেকে।