শিন্ডে এবং উদ্ধব। ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে ফের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বিজেপির। এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের পর এ বার ‘অস্ত্র’ শিবসেনার মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। বিদ্রোহী নেতাকে মঙ্গলবার বিধানসভার দলনেতার পদ থেকে সরিয়েছেন শিবসেনা প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। শিন্ডের স্থানে নয়া দলনেতা হয়েছে অজয় চৌধুরী।
বিধানপরিষদ নির্বাচনে শাসক জোট ‘মহা বিকাশ অঘাড়ি’ (শিবসেনার পাশাপাশি এনসিপি এবং কংগ্রেস যে জোটের শরিক)-র অপ্রত্যাশিত ধাক্কার পরে শিবসেনার জনা দশেক বিধায়ক-সহ শিন্ডে বেপাত্তা। বিজেপির সমর্থনে তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কুর্সির দিকে হাত বাড়াতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলের খবর। কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়কেরও খোঁজ মিলছে না বলে মঙ্গলবার দুপুরে জানা গিয়েছে।
এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার অভিযোগ করেছেন, মহারাষ্ট্রে বিধায়ক কিনে উদ্ধব সরকারের পতন ঘটাতে চাইছে বিজেপি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পর শরদের বিদ্রোহী ভাইপো অজিত পওয়ারের সমর্থন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস। অজিত হন উপমুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এনসিপি পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে ফের শরদের শিবিরে ফিরেছিলেন অজিত।
শিন্ডে-সহ বিক্ষুব্ধ শিবসেনা বিধায়কেরা এখন গুজরাতের সুরতের একটি রিসর্টে রয়েছেন বলে বিজেপির একটি সূত্রের খবর। মঙ্গলবার বিকেলে শিন্ডে এবং তাঁর সহযোগীরা সাংবাদিক বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করতে পারেন বলে ওই সূত্র জানাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাজ্যসভা ভোটে শাসক জোটের ঘর ভাঙিয়ে একটি বাড়তি আসনে জিতেছিল বিজেপি। এর পর বিধান পরিষদের ভোটেও একই ঘটনা ঘটেছে। ১০টি আসনের মধ্যে পাঁচটিকে জিতেছে পদ্ম শিবির।
পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসেব বলছে, ২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন। শিন্ডে-সহ ১০ বিধায়ক শিবির বললালে বিজেপির প্রয়োজন হবে আর মাত্র ১১টি ভোটের।
পশ্চিম মহারাষ্ট্রের প্রভাবশালী নেতা শিন্ডে ভোট-রাজনীতিতে পা দিয়েছিলেন ১৯৯৭ সালে। ঠাণে পুরসভার নির্বাচনে জিতে। ২০০৪ সালে প্রথম মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে জেতেন তিনি। জেতেন ২০০৯, ২০১৪ এবং ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটেও। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। ২০১৪-য় বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকারের মন্ত্রী হন শিন্ডে। ২০১৯-এ মহা বিকাশ অঘাড়ি সরকারের নগরোন্নয়ন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব বিধান পরিষদের সদস্য হওয়ায় বিধানসভার দলনেতার দায়িত্ব পান শিন্ডে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy