মহারাষ্ট্রে মসনদে কে, স্থির হতে পারে আজই। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে জলঘোলা এখনও চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে শিবসেনা-বিজেপি কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। এই আবহেই বিজেপি, কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির( এনসিপি) নেতারা আজ দিল্লি রওনা দিলেন। রাজধানীতে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক থেকেই হয়ত বেরিয়ে আসতে চলেছে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের ফর্মুলা।
বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলতে সোমবার দিল্লি পৌঁছেছেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। অন্য দিকে এদিনই বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার যোগ দিচ্ছেন সেই বৈঠকে। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, ফডণবীস-শাহ বৈঠকের মূল বিষয়, মহারাষ্ট্রে অকালবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছে জাতীয় দুর্যোগ তহবিলের টাকা পৌঁছে দেওয়া। তবে মহারাষ্ট্রে ৫০-৫০ ফর্মুলায় শিবসেনা এখনও অনড়। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা তারা জোগাড় করতে পারবে এমনও ‘হুমকি’ও দিচ্ছেন দলীয় নেতারা। এই অবস্থায় সমাধান সূত্র বার করার জন্য বিজেপি সুপ্রিমোর দিকেই বল ঠেলবেন ফডণবীস, অনুমান রাজনৈতিক মহলের।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে এবার ৫৪টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এনসিপি। একদিকে তাদের শক্তিবৃদ্ধি অন্য দিকে বিজেপি-সেনার মহাদ্বৈরথ জন্ম দিয়েছে নতুন প্রশ্নের। বিজেপির সঙ্গে যদি শিবসেনা সমঝোতায় না আসে তা হলে কি সরকার গঠনে এনসিপির হাত ধরবে তারা? এনসিপিও কি প্রয়োজনে সেনাকেই সমর্থন দেবে? কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বিরোধীদের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা হতে পারে বলেই রাজনৈতিক শিবিরগুলিতে জল্পনা।
আরও পড়ুন:ঘোরানো হল ৩৭ বিমান, দূষণের জেরে ভোগান্তি চলছেই দিল্লিতে
আরও পড়ুন:‘এখানে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হচ্ছে’, ধনখড়ের মুখেও আড়িপাতার কথা
এই জল্পনা অবশ্য চলছে শনিবার থেকেই। এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার শনিবারই জানান, শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের ফোন পেয়েছেন তিনি। ওই দিনই শরদ পওয়ারের বাসভবন থেকে বেরিয়ে জয়ন্ত পাটিল জানান, সনিয়া গাধীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন মারাঠা স্ট্রংম্যানশরদ। তাতেই ক্রমে ধারণা তৈরি হয়, বিজেপি-সেনা সমাধানসূত্র তৈরি না হলে সেনাকে সমর্থন দেবে কংগ্রেস ও এনসিপি। এই ধারণা বাস্তবায়িত হবে কিনা, তা বৈঠকের পরেই জানা যেতে পারে।
এ বারের নির্বাচনে বিজেপি পার্থী দিয়েছিল ১৬৪টি আসনে। শিবসেনা দিয়েছিল ১২৪টিতে। অন্য দিকে, ১৪৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস, এনসিপি লড়েছে ১২১টি আসনে। ফল বেরনোর পর দেখা যায় বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি, শিবসেনা সেখানে ৫৬টি। অন্য দিকে, শক্তি বাড়িয়ে ৫৪টি আসন নিয়ে উঠে এসেছে এনসিপি। এই অবস্থায় শিবসেনাই কি শেষ হাসি হাসবে, নাকি আরও একবার মসনদে চড়বেন ফডণবীস তা আজই স্থির হতে পারে দিল্লিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy