একনাথ শিন্ডে এবং সঞ্জয় ভোঁসলে। ছবি: সংগৃহীত।
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের শিবিরে ফিরে আসার জন্য গুয়াহাটিতে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের কাছে আবেদন জানাতে গিয়েছিলেন দলের নেতা সঞ্জয় ভোঁসলে। কিন্তু শুক্রবার সকালে হোটেলের বাইরেই তাঁকে আটক করল অসম পুলিশ।
হোটেলে ঢুকতে না দেওয়ায় গেটের বাইরে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন সঞ্জয়। তখনই তাঁকে আটক করা হয়। বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর অনুগামী বিধায়কদের গুয়াহাটিতে ‘দেখভালের’ দায়িত্বে রয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর নির্দেশে পুলিশ বিদ্রোহী বিধায়কদের হোটেলন্দি করে রেখেছে বলে অভিযোগ উদ্ধব শিবিরের।
এর আগে গুজরাতের সুরতেও একটি রিসর্টে বিধায়কদের বন্দি করে রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। গুজরাত পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে রিসর্ট ছেড়ে মুম্বই ফিরে আসার পর দুই শিবসেনা বিধায়ক কৈলাস পাতিল এবং নিতিন দেশমুখও এই অভিযোগ করেছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টার ঘটনাপ্রবাহ দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, পতনের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের ‘মহা বিকাশ অঘাড়ী’ সরকার। গুয়াহাটির হোটেলে বিজেপির ‘হেফাজতে’ থাকা শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৩৭ ছুঁয়েছে। ফলে বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর শিবিরের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হবে না। বিদ্রোহী শিবিরে ফাটল ধরাতে উদ্ধব শিবির বৃহস্পতিবার দলবিরোধী কার্যকলাপের দায়ে শিন্ডে-সহ ১২ জন বিদ্রোহী বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের জন্য ভারপ্রাপ্ত স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়ালের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। শুক্রবার সেই তালিকায় আরও ৪ বিধায়কের নাম যুক্ত হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy