Chhagan Bhujbal to Eknath Shinde, the tale of rebel leaders of Shiv Sena dgtl
Shiv Sen
Shiv Sena: ছগন ভুজবল, রাজ ঠাকরে, একনাথ শিন্ডে… কেন বার বার বিদ্রোহের সাক্ষী বালাসাহেবের শিবসেনা
ছগন ভুজবল থেকে রাজ ঠাকরে। নারায়ণ রানে থেকে একনাথ শিন্ডে। সাড়ে পাঁচ দশকে শিবসেনা অনেক বারই বিদ্রোহের মুখে পড়েছে। এক নজরে সেই ইতিহাস।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২২ ০৮:৫৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
মরাঠি মানুষের স্বার্থরক্ষার দাবি এবং হিন্দুত্বের স্লোগান তুলে ১৯৬৬ সালের নভেম্বরে শিবসেনার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বালাসাহেব ঠাকরে। সাড়ে পাঁচ দশকে কলেবরে অনেক বেড়েছে প্রয়াত বালাসাহেবের দল। সেই সঙ্গে বারে বারে সাক্ষী হয়েছে ভাঙনেরও।
০২১৫
ইতিহাস বলছে, শিবসেনার ভাঙনের সূত্রপাত হয়েছিল বালাসাহেবের জমানাতেই। ২০০২ সালে বৃহন্মুম্বই পুরভোটের দায়িত্ব নিয়ে উদ্ধবের রাজনীতিতে প্রবেশের পর ভাঙন আরও বাড়ে। বিভিন্ন সময়ে দল ছাড়েন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
০৩১৫
শুধু গুরুত্বপূর্ণ নেতারাই নন, রাজনৈতিক মতবিরোধের প্রভাব পড়ে ঠাকরে পরিবারের অন্দরেও। উদ্ধবের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে বালাসাহেবের ভাইপো রাজও নতুন দল গড়েছিলেন। অথচ উদ্ধবের অনেক আগে থেকেই শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতার রাজনৈতিক ছায়াসঙ্গী ছিলেন রাজ।
০৪১৫
১৯৯১-এ প্রথম বড় ভাঙন ধরে শিবসেনায়। একাধিক বিধায়ককে নিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন মেয়র ছগন ভুজবল। পরে শরদ পওয়ারের দল এনসিপিতে যান তিনি। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীও হন। বর্তমানে তিনি উদ্ধব সরকারের মন্ত্রী।
০৫১৫
অনগ্রসর গোষ্ঠীর নেতা গণেশ নায়েক ১৯৯৯ সালে শিবসেনা ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রীও হন। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের আগে এনসিপি ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়ে ফের বিধায়ক হন নভি মুম্বইয়ের এই প্রভাবশালী নেতা।
০৬১৫
শিবসেনার ‘অমরাঠি মুখ’ তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় নিরুপম ২০০৫ সালে বালাসাহেবের সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। হিন্দিভাষীদের প্রতি দলের অবস্থানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে মুম্বই (উত্তর) কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন সঞ্জয়।
০৭১৫
উদ্ধবের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ২০০৫ সালের জুলাইয়ে শিবসেনা ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নারায়ণ রানে। নব্বইয়ের দশকের শেষ পর্বে শিবসেনা-বিজেপি জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
০৮১৫
মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন রানে। ২০১৭-য় কংগ্রেস ছেড়ে মহারাষ্ট্র স্বাভিমান পক্ষ গড়েন। পরের বছর বিজেপির সমর্থনে রাজ্যসভা ভোটে জেতেন রানে। ২০১৯-এ আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন। এখন তিনি মোদী সরকারের মন্ত্রী।
০৯১৫
বালাসাহেবের জীবদ্দশাতেই ২০০৬ সালে তাঁর প্রিয় ভাইপো রাজ শিবসেনার সঙ্গ ছেড়ে নিজের দল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) গড়েছিলেন। কাকার নামে একটিও অভিযোগ না করলেও উদ্ধবের ‘নেতৃত্বগুণ’ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন রাজ।
১০১৫
২০০৯-এর বিধানসভা ভোটে ১৩টি আসনে জিতে চমকে দিয়েছিল রাজের দল। ২০১২-য় বৃহন্মুম্বই পুরসভার ভোটে এমএনএন জেতে ২৭টি ওয়ার্ডে। কিন্তু কট্টরপন্থী অবস্থান এবং হিংসাত্মক আন্দোলনের কারণে ক্রমশ মরাঠা রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন রাজ।
১১১৫
অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারে শিবসেনার প্রতিনিধি সুরেশ প্রভু ২০১৪ সালের নভেম্বরে নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপিতে। নরেন্দ্র মোদী সরকারে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। পরে কেন্দ্রে সার ও রসায়ন, অসমারিক বিমানমন্ত্রীও হন তিনি।
১২১৫
মহারাষ্ট্রের প্রথম শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রী মনোহর জোশীও ২০১৩ সালে দল ছাড়বেন বলে জল্পনা দানা বেঁধেছিল। সে সময় মুম্বইয়ে ‘দশেরা উৎসবে’ উদ্ধব-অনুগামীরা লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মনোহরকে নিগ্রহ করেছিল বলেও অভিযোগ ওঠে।
১৩১৫
ঘটনাচক্রে শিবসেনা-ত্যাগী নেতাদের অধিকাংশই বালাসাহেবের জমানায় দলে যোগ দিয়েছিলেন। প্রত্যেকের সঙ্গেই তাঁর ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা ছিল। দল ছাড়ার পরেও তাঁরা কেউই দলের প্রতিষ্ঠাতাকে আক্রমণ করেননি।
১৪১৫
শিবসেনার সাম্প্রতিকতম বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডেও সেই বালাসাহেব বন্দনার প্রথা অনুসরণ করেছেন। বলেছেন, প্রয়াত নেতার হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক আদর্শের কথা। পাশাপাশি, উদ্ধবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন দলের আদর্শ থেকে বিচ্যূতির।
১৫১৫
তবে শিবসেনার ইতিহাসে শিন্ডের বিদ্রোহই ‘সবচেয়ে ক্ষতিকর’ হতে চলেছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন। অতীতে কখনও কোনও বিদ্রোহী নেতার পিছনে এত জন বিধায়কের সমর্থন দেখা যায়নি।