Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
maharashtra

Maharashtra Crisis: দাঙ্গার সময় বাঁচান একটি শিশুকে, কিন্তু শিন্ডের সামনেই তলিয়ে যায় তাঁর দুই সন্তান

এক অসুস্থ শিশু এবং তার মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে ১৯৮৯-এর দাঙ্গার সময় প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অটো চালিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে।

শিন্ডে এবং তাঁর রাজনৈতিক গুরু আনন্দ দীঘে।

শিন্ডে এবং তাঁর রাজনৈতিক গুরু আনন্দ দীঘে। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২২ ১৩:৩১
Share: Save:

তখন তিনি ঠাণের একটি ছোট্ট খোলার (টালির চালের ঘর) বাসিন্দা। সাতারা থেকে এসে কিছু দিন ছোটখাটো চাকরি করার পরে বেছে নিয়েছেন অটোচালকের পেশা। সে সময়ই হঠাৎ গোষ্ঠীহিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল মুম্বই-সহ আশপাশের এলাকায়।

একনাথ শিন্ডের এক পুরনো প্রতিবেশী জানাচ্ছেন, ১৯৮৯ সালের ওই গোষ্ঠীহিংসার সময় বৃহত্তর মুম্বই এবং আশপাশের কিছু এলাকায় অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। সে সময় এক রাতে এলাকার এক অসুস্থ শিশু এবং তার মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে অটো চালিয়েছিলেন শিন্ডে। ওই প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘সে দিন একনাথের জন্যই ওই শিশুটির প্রাণ বেঁচে গিয়েছিল।’’

আশির দশকে কলেজের পড়া ছেড়ে বালাসাহেবের ডাকে সাড়া দিয়েই সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন শিন্ডে। আদতে মহারাষ্ট্রের সাতারার বাসিন্দা হলেও রাজনীতির ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন শিবসেনার শক্ত ঘাঁটি ঠাণেকে। অচিরেই সেখানকার প্রভাবশালী শিবসেনা নেতা আনন্দ দীঘের ‘ডানহাত’ হয়ে ওঠেন তিনি। ওই প্রতিবেশী জানাচ্ছেন, শিবসেনার নিচুতলার কর্মী থাকাকালীন সব সময়ই এলাকাবাসীর প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতেন শিন্ডে। তিনি বলেন, ‘‘উনি খুব কম সময়ের জন্যই ঘুমাতেন। এলাকাবাসীর কারও সাহায্যের প্রয়োজন হলেই ছুটে যেতেন।’’

সেই গোষ্ঠীহিংসার ঘটনার এক দশক পরে, ১৯৯৯ সালে সাতারায় নৌকাডুবি থেকে নিজের দুই সন্তানকে বাঁচাতে পারেননি শিন্ডে। তিনি সে দিন অন্য একটি নৌকায় সওয়ার ছিলেন। চোখের সামনেই জলে তলিয়ে যেতে দেখেছিলেন দুই সন্তানকে। ওই ঘটনার পরে মানসিক অবসাদের শিকার হন তিনি। রাজনীতিও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বাধ সাধেন রাজনৈতিক গুরু দীঘে। তিনি অনেক বুঝিয়ে ফের রাজনীতিতে ফেরান শিন্ডেকে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy