প্রতীকী ছবি।
রাজু লক্ষ্মণ নামে এক ‘ভারতীয় চর’ তাদের হাতে ধরা পড়েছে বলে গত সপ্তাহে দাবি করেছিল পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ। মধ্যপ্রদেশের খণ্ডোয়া জেলার ইন্দাওয়াড়ি গ্রামের এক ব্যক্তির দাবি, ওই ‘চর’ আসলে তাঁরই মানসিক ভারসাম্যহীন দাদা। গত দু’মাস ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
দিলীপ পিন্দারে নামে ওই ব্যক্তি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘গত কাল সাদা পোশাকে দু’জন লোক আমাদের বাড়িতে আসেন। তাঁরা মোবাইলে কিছু ছবি আমাদের দেখান। ওগুলো ছিল রাজুর ছবি। রাজু আমার দাদা। গত ১৫ বছর ধরে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায়ই সে এক-দু’মাস বাড়ি ফেরে না।’’ দিলীপ জানান, তাঁর বাবা লক্ষ্মণ কৃষিশ্রমিক। আর্থিক সঙ্গতি না-থাকায় তাঁর দাদার মানসিক রোগের চিকিৎসা করানো যায়নি। পঞ্চম শ্রেণিতে অকৃতকার্য হওয়ার পরে স্কুলেও আর যাওয়া হয়নি রাজুর।
পাক কর্তৃপক্ষের দাবি, পঞ্জাবের ডেরা গাজ়ি খান শহরে সেনাবাহিনীর সীমান্ত পুলিশের একটি টহলদারি দল গ্রেফতার করেছে ৩০ বছরের রাজু লক্ষ্মণকে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি অজান্তেই পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন, নাকি চরবৃত্তিই ছিল উদ্দেশ্য—তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।’’
দিলীপের প্রশ্ন, টাকাপয়সা ছাড়া মানসিক ভারসাম্যহীন একটি লোক কী ভাবে অত দূরে, পাকিস্তানে পৌঁছে গেলেন? তাঁর কথায়, ‘‘রাস্তায় লোকজন দেখলেই খাবার চাইত দাদা। অন্যান্য বারের মতো এ বারও ও বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। দিন পনেরো আগে আমরা খবর পাই, ও আশেপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তানে পৌঁছে গেল কী করে, সেই উত্তর আমরাও খুঁজছি।
খণ্ডোয়া পুলিশের এসপি শিবদয়াল সিংহ যদিও বলেছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত জেলা থেকে এমন কোনও ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন বলে আমাদের কাছে খবর নেই। কাউকে চিহ্নিত করতেও বলা হয়নি আমাদের।’’ এই প্রসঙ্গে দিলীপের যুক্তি, রাজু মাঝেমধ্যেই দীর্ঘদিন বাড়ি ফিরতেন না বলে পরিবারের তরফে পুলিশে কোনও নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy